LED light project in WB: পুরনো ল্যাম্পের জায়গায় বসবে LED লাইট! ২.৯ কোটি টাকা দিল রাজ্য, কোথায় বসবে এবার?

এলইডি আলো বসানোর জন্য ২.৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, কামালগাজি উড়ালপুল থেকে পদ্মপুকুর মোড় পর্যন্ত (বারুইপুরের দিকে বাইপাস) যে চিরাচরিত ল্যাম্প (পোশাকি ভাষায় হাই-প্রেশার সোভিয়াম ভেপার লাইট) আছে, সেগুলিকে পালটে ফেলা হবে। পরিবর্তে এলইডি আলো বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) মাধ্যমে সেই কাজ করানোর জন্য রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতরকে ২.৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যে সংস্থা আলো বসানোর কাজ করবে, সেই সংস্থাকে এক বছর সেটার নজরদারি করতে হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারি আধিকারিকরা। তার ফলে ওই এলাকা আরও ঝকঝক করবে। বাঁচবে বিদ্যুৎ। কমবে বিদ্যুতের খরচও। সেইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন যে ওই অংশে যত কেবল লাইনে গড়বড় আছে, সেগুলিও সারিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। 

রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের বক্তব্য, ‘গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্প’-র আওতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পুর এলাকায় যে চিরাচরিত স্ট্রিট লাইট বা আলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলি পালটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে এলইডি আলো বসানো হবে। সেজন্য ইতিমধ্যে কলকাতা পুরনিগম, হাওড়া পুরনিগম, বিধাননগর পুরনিগম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে নিউ টাউনের জন্যও। দিনকয়েক আগেই হাওড়া পুরনিগমের ছ’টি ওয়ার্ডে এলইডি আলো বসানোর জন্য রাজ্যের তরফে এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: নিউ টাউনে মার্চ মাসেই ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাস, বিপুল বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানের সুযোগ

কিন্তু কেন চিরাচরিত ল্যাম্প ছেড়ে এলইডির দিকে হাঁটছে রাজ্য?

নবান্ন সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে যে হাই-প্রেশার সোভিয়াম ভেপার লাইট ব্যবহার করা হয়, সেটার থেকে অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব এলইডি আলো। দীর্ঘদিন ধরে আলো দেয়। সহজে খারাপ হয় না। আলোর তীব্রতাও বেশি। কম ভোল্টেজ থাকলেও আলো জ্বলে। ফলে বিদ্যুৎ বাঁচায়। বিদ্যুতের পিছনে কম টাকা খরচ হয়। পরিবেশের পক্ষেও সেটা ভালো। সেজন্যই চিরাচরিত হাই-প্রেশার সোভিয়াম ভেপার লাইটের পরিবর্তে ‘গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্প’-র আওতায় ধীরে-ধীরে রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় এলইডি আলো বসানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: PNG Connection in Bengal: পাইপলাইনে গ্যাস এল দুর্গাপুরের রান্নাঘরে, কত খরচ জানুন, এলপিজির থেকেও সস্তা?