Sandeshkhali Journalist arrest: ‘দোষীকে না ধরে…’, সন্দেশখালিতে সাংবাদিক গ্রেফতারিতে সরব অনুরাগ ঠাকুর

সম্প্রতি সন্দেশখালিতে খবর করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক সাংবাদিক। সেই ঘটনায় এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। উল্লেখ্য, ‘অন এয়ার’ লাইভ সম্প্রচার চলাকালীন সন্তু পান নামক এক টিভি সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল সন্দেশখালিতে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার ‘ডিপি’ কালো করেছেন। আর এবার সেই ঘটনায় সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এই ঘটনাকে ‘মানবতার লজ্জা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। (আরও পড়ুন: এল মঙ্গলবার্তা, ফের কাজ করছে অনেকের ‘নিষ্ক্রিয়’ আধার, তবে মিটছে না বিতর্ক)

আরও পড়ুন: ‘খলিস্তানি’ তকমা পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন IPS নিজে, কুণালের খোঁচা, ‘মোদীও কি তবে…’

এই বিষয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যা সব ঘটছে তা মানবতার জন্য লজ্জাজনক। পুলিশ এবং প্রশাসন দোষীদের রক্ষা করছে। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হওয়া সত্ত্বেও সেখানে মহিলারা নিরাপদ নন। সেখানকার মহিলাদের আর কতদিন নির্যাতন সহ্য করতে হবে? আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করছি যাতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা চাপা দেওয়া না হয়। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গে সাংবাদিকদের ওপর নির্মম আচরণ এই নতুন নয়। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে, তা লজ্জাজনক। যারা দোষী, তাদের রক্ষা করা হচ্ছে এবং মিডিয়াকে চুপ করানো হচ্ছে, এর থেকে বেশি লজ্জার আর কি হতে পারে?’

উল্লেখ্য, বিগত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে। তবে তিনি আজও অধরা। এরই মাঝে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এই আবহে এখন রাজ্য রাজনীতির সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় সন্দেশখালি। গত ৫ জানুয়ারি কী ঘটেছিল? সেদিন রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সকালে ইডির আধিকারিকরা যখন শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছন, তখন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। শেখ শাহজাহানের দেখা মেলেনি। ইডির অফিসাররা ও সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দরজা খুলতে বলেছিলেন। কিন্তু এসবের মধ্যেই মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে এক দল উন্মত্ত জনতা লাঠি নিয়ে এসে ইডি আধিকারিকদের ঘিরে ফেলেন। ইডির দাবি, প্রায় ৮০০-১০০০ জনের উন্মত্ত জনতা চড়াও হয়েছিল তদন্তকারী দলের উপর। আক্রান্ত হয়েছেন ইডির অফিসাররা। ইডির তিন জন অফিসার হাসপাতালে ভরতি হন। এদিকে হামলার দায় পালটা ইডির উপরেই চাপায় বাংলার শাসক শিবির। তৃণমূলের মুখপাত্র থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রীদের দাবি, অভিযানের ব্যাপারে ইডি আগাম কোনও তথ্য দেয়নি। তথ্য দিলে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকত। আর তাতে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হত না। এই সবের মাঝেই সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জমি দখল, খুন, ধর্ষণের একাধিক অভিযোগ ওঠে। সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দারা তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিবাদী হয়ে।

এদিকে ৫ জানুয়ারির ঘটনায় ইডির অভিযোগের প্রেক্ষিতেও পৃথক এফআইআর হয় শাহজাহান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও শাহজাহান অধরা। এদিকে শাহজাহানের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। অনেকেই তাদের থেকে টাকা পান বলে অভিযোগ ওঠে।