Sandeshkhali Journalist Arrest: সন্দেশখালিতে সাংবাদিক গ্রেফতার, রাজ্য পুলিশকে নোটিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

সন্দেশখালিতে লাইভ চলার সময়ই গ্রেফতার করা হয়েছিল একটি বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিককে। সন্তু পান নামে ওই সাংবাদিককে কার্যত টেনে নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলা জুড়ে নানা প্রতিবাদ। তবে সূত্রের খবর, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। ওই সাংবাদিককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিবৃতিতে জানিয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় অভিযোগ উঠেছে। সংবাদমাধ্য়মের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। NHRC স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনও আগাম নোটিশ ছাড়াই পুলিশ ওই সাংবাদিককে ঘিরে ধরে। এরপর তাকে হেনস্থা করা হয়। তাকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়। 

এদিকে ওই সাংবাদিকের স্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন যে তাঁর সঙ্গে স্বামীর দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।  তাঁর শরীর স্বাস্থ্য় নিয়ে তিনি চিন্তায় রয়েছেন।  তিনি জানিয়েছেন, এভাবে সংবাদমাধ্য়মের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। মিডিয়াকে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। 

এরপরই কমিশনের তরফে রাজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়। দু সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য বলা হয়।  সেই সঙ্গেই কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যাতে এক সপ্তাহের মধ্য়ে ফোনে ব্যাপারটি সম্পর্কে জানানো হয়। খবর পিটিআই সূত্রে। 

সেই সঙ্গেই মিডিয়ার স্বাধীনতা সম্পর্কিত ব্যাপারেও  বিবৃতি দিয়েছে এনএইচআরসি। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, স্বাধীন প্রেস গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। সত্যিটা বলা প্রেসের কর্তব্য। 

এদিকে সম্প্রতি সন্দেশখালিতে কভারেজে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন সাংবাদিক সন্তু পান। সেই ঘটনায় এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। উল্লেখ্য, ‘অন এয়ার’ লাইভ সম্প্রচার চলাকালীন সন্তু পান নামক এক টিভি সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল সন্দেশখালিতে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার ‘ডিপি’ কালো করেছেন। আর এবার সেই ঘটনায় সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এই ঘটনাকে ‘মানবতার লজ্জা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘সন্দেশখালিতে যা সব ঘটছে তা মানবতার জন্য লজ্জাজনক। পুলিশ এবং প্রশাসন দোষীদের রক্ষা করছে। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হওয়া সত্ত্বেও সেখানে মহিলারা নিরাপদ নন। সেখানকার মহিলাদের আর কতদিন নির্যাতন সহ্য করতে হবে? আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করছি যাতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা চাপা দেওয়া না হয়। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গে সাংবাদিকদের ওপর নির্মম আচরণ এই নতুন নয়। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে, তা লজ্জাজনক। যারা দোষী, তাদের রক্ষা করা হচ্ছে এবং মিডিয়াকে চুপ করানো হচ্ছে, এর থেকে বেশি লজ্জার আর কি হতে পারে?’