SC on Chandigarh Mayor Vote: যেই ধারায় রামমন্দির মামলার রায়, তাতেই চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনের ভোট গণনা হল সুপ্রিম কোর্টে

সংবিধানের ১৪২ ধারার বিশেষ ক্ষমতা বলেই ২০১৯ সালে অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর গতকাল, সেই ১৪২ ধারার বলেই সুপ্রিম কোর্টে চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের ভোট গণনা হয়। উল্লেখ্য, সংবিধানের ১৪২ ধারা সুপ্রিম কোর্টকে ‘প্রকৃত ন্যায়বিচারের জন্য’ প্রয়োজনীয় কোনও আদেশ জারির ক্ষমতা দেয়। ওই ধারায় বলা হয়েছে, নির্দেশ কার্যকর করার জন্যে সর্বোচ্চ আদালত নিজের এক্তিয়ার প্রয়োগের মাধ্যমে এমন ডিক্রি পাস করতে পারে বা সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার করার জন্য প্রয়োজনীয়। যেভাবে সংসদ কোনও আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুসারে নির্দেশ দিতে পারে, ঠিক সেই পদ্ধতিতেই এখানেও কাজ হয়। এই আবহে ১৪২ ধারার অধীনে সুপ্রিম কোর্টের নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত ‘দৃষ্টান্ত’ হয়ে উঠতে পারে না। (আরও পড়ুন: ‘আধার নিষ্ক্রিয়তায় BJP-র বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে বাংলা’, শুভেন্দুর চিঠি মোদীকে)

আরও পড়ুন: ‘খলিস্তানি’ তকমা পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন IPS নিজে, কুণালের খোঁচা, ‘মোদীও কি তবে…’

উল্লেখ্য, এর আগে চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির জোটকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এই আবহে বিজেপি এবং নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, চণ্ডীগর পুরসভায় ৩৫ জন সদস্য আছেন। মেয়র নির্বাচনে ভোটের সংখ্যা অবশ্য ৩৬। কারণ মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে চণ্ডীগড়ের সাংসদেরও একটি ভোট আছে সেখানে। সব মিলিয়েও কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। তাই এই পুরসভার মেয়র পদ দখল করা প্রায় নিশ্চিত ছিল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির জন্য। তবে মেয়র সহ যে তিন পদের জন্য নির্বাচন হয়, তাতে বিজেপিই জয়ী হয়।

সরকারি ভাবে প্রকাশিত ফলে বলা হয়, বিজেপির প্রার্থী মনোজ সোনকর আম আদমির কুলদীপ কুমারকে ১৬-১২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮টি ভোট বাতিল করা হয়। সহজ অঙ্ক কষলেই বোঝা যাচ্ছে, বাতিল হওয়া ভোটের সবকটাই বিরোধী কাউন্সিলরদের। ৩৫ সদস্যের চণ্ডীগড় পুরনিগমে বিজেপির ১৫ জন কাউন্সিলর ছিলেন। অন্য দিকে আপ এবং কংগ্রেসের কাউন্সিলরের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৩ এবং ৭। আদতে কুলদীপ গত ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে পেয়েছিলেন ২০টি ভোট। তবে ৮টি ব্যালট পেপারে ‘x’ দাগ কেটেছিলেন রিটার্নিং অফিসার অনিল মসিহ। এই আবহে চণ্ডীগড় মামলায় রিটার্নিং অফিসারকে তুলোধোনা করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চের তরফ থেকে বলা হয়, রিটার্নিং অফিসার ব্যালট পেপারকে ‘বিকৃত’ করেছেন। তিনি যা করেছেন, সেটা গণতন্ত্রের ‘হত্যা’। পরে অভিযুক্ত রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বলেন জাস্টিস চন্দ্রচূড়। এদিকে চণ্ডীগড়ের তিন আপ কাউন্সিলর সদ্য বিজেপিতে যোগ দেন। এই আবহে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট বলে দেয়, ‘ঘোড়ার কেনাবেচা চলেছে।’ আর তাই পুনর্নির্বাচন না করে ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে পড়া ভোটকেই বৈধ ঘোষণা করে তার গণনার নির্দেশ দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতেই সেই ভোটের গণনা করা হয়। সংবিধানের ১৪২ নং ধারার অধীনে সেই নির্দেশ দেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।