Transgender beaten: শিশু চোর সন্দেহে রূপান্তরকামী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে খুঁটিতে বেঁধে মার, ধৃত ২

হায়দরাবাদের পর এবার চেন্নাইয়ে এক রূপান্তরকামীকে শিশু অপহরণকারী সন্দেহে বেধরক মারধর করার অভিযোগ উঠল। একদল যুবক তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। আক্রান্ত রূপান্তরকামী একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তাকে জখম অবস্থায় হাসপাতালের ভরতি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: তোলা চেয়ে কলকাতার প্রবাসী বাঙালিকে মারধরে গ্রেফতার প্রধান অভিযুক্ত সহ ৩

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার। ক্রোমপেটে একদল যুবক তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। আক্রান্ত রূপান্তরকামী পাম্মালের বাসিন্দা। রাতের খাবার খেয়ে তিনি বাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন দু’জন যুবক প্রথমে তাকে বাধা দেয় এবং তার পরিচয় জানতে চায়। তখন আক্রান্ত রূপান্তরকামী জানান, তিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু, যুবকের দল সে কথা মানতে চায়নি। এর পরে যুবকের দল তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় শঙ্কর নগর থানার পুলিশ। সেই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম হল নন্দকুমার এবং মুরুগান। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে ৭ থেকে ৮ জন জড়িত রয়েছে। বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তেলেঙ্গানার নিজামবাদে। সেখানে একজন রূপান্তরকামীকে শিশু অপহরণকারী সন্দেহে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, মৃত রূপান্তরকামীর নাম রাজু (৫০)। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী তিনি তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্গত। ওই এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরেই শিশু অপহরণের গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। রাজু এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দেখে সন্দেহ হয় এলাকার বাসিন্দাদের। তখন শিশু চোর সন্দেহে রাজুকে ধরে মারধর করতে থাকেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তড়িঘড়ি রাজুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়াও, একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কামারেডিতে। সেখানে দুই মহিলাকে মারধর করা হয়। এক্ষেত্রেও শিশু চোর সন্দেহে দুই মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনা একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং বিষয়টির তদন্ত করছে।