Alleged Sexual assault in JU: ‘চাহিদা’ মেটাতে হবে, পরীক্ষার হল থেকে বের করে বলেন স্যার, অভিযোগ JU-র ছাত্রীর

পরীক্ষার হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ‘চাহিদা’ মেটাতে বলেছেন অধ্যাপক। এমনই অভিযোগ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীর দাবি, ভালোভাবে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ওই অধ্যাপকের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ারও পরামর্শ দেন দুই সিনিয়র দাদা। সেই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রী। যদিও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার পার্থপ্রতিম রায়ের পালটা অভিযোগ, পরীক্ষার সময় ওই ছাত্রী জালিয়াতি করছিলেন। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের নেতা। সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে, সেটার জন্যই ওই অভিযোগ তোলা হয়েছে।

ঠিক কী দাবি করেছেন ওই ছাত্রী?

ওই ছাত্রীর দাবি, তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করেন। গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তাঁদের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার মধ্যেই নাম ধরে ডেকে ওই অধ্যাপক অভিযোগ করেন যে ওই ছাত্রী টুকলি করছেন। সকলের সামনেই তাঁর শরীর স্পর্শ করে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কোনও টুকলির কাগজ মেলেনি। তারপর তাঁকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয় বলে দাবি করেছেন ছাত্রী।

ওই ছাত্রীর অভিযোগ, বুধবার পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে। পরীক্ষার মধ্যেই তাঁকে বলা হয় যে ওই অধ্যাপক তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন। তারপর ওই হাত ধরে ঘরের মধ্যে তাঁকে টেনে নিয়ে যান অধ্যাপক। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কান্নাকাটি করলেও কোনও লাভ হয়নি। বরং তাঁর হাতে কালি ঢেলে দেন অধ্যাপক। টুকলির অভিযোগ তোলেন। কিন্তু পরে যৌন হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করবেন বলায় ওই অধ্যাপক তাঁর হাত ধুয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে দাবি করেছেন ওই ছাত্রী।

আরও পড়ুন: ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়ী করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, সুপারিশ ক্ষতিপূরণের

যাদবপুরের ওই ছাত্রীর দাবি, ওই ঘটনার পরে তাঁকে বিভাগীয় প্রধানের ঘরে নিয়ে যান ওই অধ্যাপক। তবে বিভাগীয় প্রধান তাঁকে পরীক্ষার হলে ফেরার অনুমতি দেন। শেষপর্যন্ত যখন তিনি যখন পরীক্ষা হলে ফেরেন, তখন কয়েক মিনিট বাকি ছিল। সেইসময় ওই অধ্যাপক তাঁর উত্তরপত্রের পৃষ্ঠায় দাগ কেটে নিতে বাধ্য করেন বলে দাবি করেছেন ওই ছাত্রী। শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীর দাবি, পরীক্ষার শেষে ওই সিনিয়র দাদা ‘পরামর্শ’ দেন যে স্যারের ‘রাগ’ কমাতে এবং ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে স্যারের সঙ্গে ‘যৌন সম্পর্ক’ লিপ্ত হতে হবে।

যদিও ওই ছাত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা। ওই সংগঠনের প্রতিনিধি অধ্যাপক দাবি করেছেন, ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে উলটো-পালটা অভিযোগ করা হচ্ছে। অপবাদ দেওয়া হচ্ছে তাঁর নামে। এরকম ঘটনা ঘটলে ভবিষ্যতে কোনও অধ্যাপক গার্ড দিতে চাইবেন না বলে দাবি করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: JU student death: JU ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, র‌্যাগিং না সম্পর্কের টানাপোড়েন, তদন্তে কমিটি