68 Matchsticks into Nostrils: কেন নাকে ৬৮টি দেশলাই গুঁজলেন এই ব্যক্তি?

এ যেন এক বিস্ময়কর গিনেস রেকর্ড! ৬৮টি দেশলাই কাঠি নাকে গুঁজেই বুক অফ ওয়ার্লড রেকর্ডে নাম লেখালেন এক ডেনমার্কের যুবক। এই প্রথমবার এমন রেকর্ড লেখা হল গিনেস বুকে। পিটার ভন টাঙ্গেন বুসকভ হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি এই রেকর্ডের মালিক।

৩৯ বছরের এই ব্যক্তি ৬৮টি দেশলাই কাঠি নাকে গুঁজে অস্বাভাবিক এক রেকর্ড গড়েছেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।  ডেনমার্কের পিটার ভন টানজেন বুসকভ, নাকে সবচেয়ে বেশি দেশলাই প্রবেশ করানোর জন্য একটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছেন।

এই বিস্ময়কর রেকর্ড অর্জনের জন্য সর্বনিম্ন ৫৪টি দেশলাই নাকে প্রবেশ করাতে হয়েছে তাঁকে। এ প্রসঙ্গে বুসকভ জানান, এর জন্য বিন্দু মাত্রও ব্যথা পেতে হয়নি তাঁকে। তাঁর মোটামুটি বড় নাসারন্ধ্র এবং বেশ প্রসারিত ত্বকই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর কারণেই হয়তো এই রেকর্ড তৈরি করতে অনেক সাহায্য করেছে।

মিঃ বুসকভ জানিয়েছেন যে তার নাকের ছিদ্রে সর্বোচ্চ ৬৮ টি ম্যাচ প্রবেশ করতে পারে। তবে তিনি ভবিষ্যতে এই রেকর্ড বাড়ানোর সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তিনি গিনেস রেকর্ড সংস্থাকে জানিয়েছেন যে ‘ আমার এই রেকর্ড বাড়ানোর জন্য কিছু প্রশিক্ষণের প্রয়োজন, বা সম্ভবত আমার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমার নাক বাড়বে, তখন হয়তো এই রেকর্ড আমি বাড়াতে পারব।

আরও পড়ুন: নারকেল তেলে জাদু আছে, সারা রাত মেখে রাখলে মিলবে চমৎকার ত্বক

বুসকভ আরও জানান যে, নিজের বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পেরে তিনি বেশ আনন্দিত। তিনি কখনই ভাবেননি যে তিনি এই রেকর্ড গড়তে পারবেন। এই বিস্ময়কর রেকর্ড দেখে বেশ আশ্চর্যই হয়েছেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্লড রেকর্ড সংস্থাও।

সম্প্রতি নিজেদের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে নাকে দেশলাই গোঁজা পিটারের একটি ছবি শেয়ার করে সংস্থাটি সবাইকে এই রেকর্ডের কথা জানিয়েছেন। ছবিতে থাম্বস আপ দেখিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পিটার। এই বিরল রেকর্ড দেখে বেশ আপ্লুতই হয়েছেন সকলে।

৩৯ বছরের পিটারের এই রেকর্ড অনুপ্রেরণাও দিয়েছে অনেককে। অনেকেই মন্তব্য বাক্সে প্রশংসা করেছেন তাঁর। এর আগেও বহু বিস্ময়কর রেকর্ডের সাক্ষী থেকেছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ড রেকর্ড। এর আগে এক ব্যক্তি নিজের দাড়ি দিয়ে ট্রেন টেনে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে চমকে দিয়েছিলেন অন্যদিকে ভায়োলিন বাজাতে বাজাতে ৬০ কিমি উল্টোপথে সাইকেল চালিয়ে রেকর্ড গড়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন ক্রিস্টিয়ান আদম নামের অন্য এক ব্যক্তি।