Aadhar Card: কী হবে কে জানে? সকাল থেকে আধার সংশোধনের জন্য লাইন, ‘বাতিল’ নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে…

আধার কার্ড নিয়ে যেন বিভ্রান্তি একেবারে চরমে। আধার বাতিলের আশঙ্কা ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। সেই আশঙ্কা কার্যত আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বুধবার থেকেই আধার বাতিলের চিঠি আসছিল বিভিন্ন এলাকায় এমনটাই খবর। এরপরই বিভিন্ন এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়াতে থাকে। এদিকে অনেকের মনেই আশঙ্কা হতে থাকে যদি আধার কার্ডে কোথাও কোনও ভুল থাকে তবে হয়তো আধার বাতিল হয়ে যেতে পারে। এরপরই আধার কার্ড সংশোধনের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। 

সব কাজ ফেলে আধার কার্ড সংশোধনের জন্য লাইন দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আসলে রাতের ঘুম উড়ে যাচ্ছে অনেকের। শুধু আধারের চিন্তায়। এমনকী আধার সংক্রান্ত গন্ডগোল থাকলে যদি দেশ থেকে বের করে দেয় সরকার সেই অমূলক আশঙ্কার জেরেই আধার সংশোধনের জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। 

মালদা থেকে মালবাজার, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ সর্বত্র এই ছবি। তবে আধার কার্ড বাতিল হলেও তা ফের চালু হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু বাস্তবে কী হবে সেটাই এখন দেখার। তবে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছেন আধার নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু নেই। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটাই দেখার। 

এদিকে রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তেই আধার বাতিলের চিঠি এসেছে বলে খবর। সেকারণেই আতঙ্কের প্রহর গুণতে শুরু করেন অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটা নিয়ে আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছে না। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এনিয়ে বিভ্রান্তির কোনও ব্যাপারই নেই। খুব দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে। 

এদিকে আধার ইস্যুতে ইতিমধ্য়েই লোকসভা ভোটের মুখে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, আধার নিষ্ক্রিয় হলেও রাজ্যের কোনও বাসিন্দাকে সমস্যায় পড়তে হবে না।

গত কয়েকদিন ধরে আধার অনিশ্চয়তায় ভুগতে শুরু করে বাংলা। একাধিক জেলায় বহু মানুষের আধার নিষ্ক্রিয় করা হয়। সেই মতো চিঠি পাঠানো হয় অনেককেই। এমনই একটি চিঠি গিয়েছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা বনকাটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দা এক পড়ুয়ার কাছে। অবশ্য হাতে চিঠি পাওয়ার আগেই আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন সেই পড়ুয়া। জানা যায়, সেই পড়ুয়ার নাম আশা বিশ্বাস। বীরভূমের কবি জয়দেব মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তিনি। পরীক্ষর ফর্ম ফিলআপ করতে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। পরেরদিন তাঁর হাতে চিঠি আসে। এর জেরে তাঁর পরীক্ষায় বসা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে সেই পড়ুয়াকে এবার পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছে।