সন্দেশখালিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পার্থ, সুজিত, শাহজাহানের দায় ঝাড়া শুরু করল TMC

১৪৪ ধারার মধ্যে সন্দেশখালি সফরে গিয়ে শাহজাহানের কীর্তির দায় ঝাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করলেন তৃণমূলের নেতারা। শনিবার সন্দেশখালি সফরে যান রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। দিনভর সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। বহু জায়গায় বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় তাঁদের। ফেরার সময় পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘এসব এলি, তেলি, গঙ্গাতেলি ফুটে মস্তানদের তৃণমূলে রাজত্ব করতে দেওয়া হবে না।’ পার্থবাবুর বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, এক মাস আগে যাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কোনও অভিযোগ নেই’ বলে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন, এমন কী হলে যে তাঁকে দল থেকে তাড়ানোর কথা ভাবতে হচ্ছে?

আরও পড়ুন: সমকামী সম্পর্কে টানাপোড়েন, রায়গঞ্জে ছুরিকাহত তরুণী

এদিন সকালে সেচ দফতরের শীর্ষকর্তাদের নিয়ে সন্দেশখালি যান সুজিত ও পার্থ। সন্দেশখালিতে যে সব খাল ও মাঠ দখল করে মাছ চাষ হচ্ছে তা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন তাঁরা। বিশেষ করে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল পাত্রপাড়ায় যান তাঁরা। এর পর পার্থবাবু জানান, এই সব ভেড়ি দখল মুক্ত হবে। বুলডোজার দিয়ে ভেড়ির আল কেটে দিয়ে গ্রামবাসীদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

বিকেলে গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুজিত ও পার্থ। তাঁদের শান্ত করে নিজেদের কথা বলেন ২ মন্ত্রী। ফেরার পথে ফেরিঘাটে সাংবাদিকদের পার্থ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পৌঁছে দিতে আমরা সন্দেশখালি এসেছিলাম। আমরা মানুষকে বলেছি যে তৃণমূল কংগ্রেস এমন দল যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে দল ও মন্ত্রিসভার পদ থেকে সরাতে সময় নেয় না। আর এসব এলি, তেলি, গঙ্গে তেলি ফুটো মস্তানকে তৃণমূলে রাজত্ব করতে দেওয়া হবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল ও প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।’

আরও পড়ুন: আমাকেও তৃণমূলের নেতারা কুপ্রস্তাব দেওয়ার চেষ্টা করেছে: বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়

পার্থবাবুর এই বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, যে নেতাকে ‘আমি যতদূর শুনেছি, ঘটনার সময় ও ঘটনাস্থলেই ছিল না। ওর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই’ বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লিনচিট দিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা ভাবতে হচ্ছে তৃণমূলকে? তাছাড়া কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তৃণমূল কোনও পদক্ষেপ করুক না করুক প্রশাসনকে তো পদক্ষেপ করতেই হবে। তাতে তৃণমূলের ভূমিকা কী? এদিনও শেখ শাহজাহান কবে গ্রেফতার হবে তা নিয়ে গ্রামবাসীদের নির্দিষ্ট কোনও দিন তারিখ বলতে পারেননি ২ মন্ত্রী। জোড়া মন্ত্রীর এই সফরে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের আস্থা কতটা তৃণমূলের প্রতি ফেরে সেটাই দেখার।