Drunken school teacher: বর্ধমানে স্কুলের বাইরে মদ খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন বর্ষীয়ান শিক্ষক!

স্কুলের বাইরে মদ্যপ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন এক ব্যক্তি। তবে তিনি কোনও সাধারণ ব্যক্তি নন। আসলে তিনি হলেন ওই স্কুলেরই একজন শিক্ষক। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি বর্ধমান শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত বর্ধমান শিবকুমার হরিজন বিদ‍্যালয়ের। শিক্ষকের নাম জয়রাম কুমার সিং। তিনি হিন্দি বিভাগের সহশিক্ষক। শনিবার এমন দৃশ্য দেখে কার্যত হতবাক বর্ধমানের বাসিন্দারা। এই ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

আরও পড়ুন: মত্ত অবস্থায় স্কুলে ঢুকে পড়ুয়াদের মার, তার পর বমি করে শুয়ে পড়লেন শিক্ষক

জানা গিয়েছে, স্কুলটি জেলা প্রশাসনিক ভবন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত। এমনকী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকেও স্কুলটির দূরত্ব খুব বেশি নয়। সেই স্কুলের একেবারে গেটের বাইরেই মদ‍্যপ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় সহ শিক্ষককে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল‍্য ছড়িয়েছে বর্ধমান শহরে। স্কুলের বহু ছাত্র ছাত্রী এবং পথ চলতি মানুষ এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ের গেটের বাইরে মদ্যপ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। আর তাকে ঘিরেই নানা প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ‍্যে। এনিয়ে অবিভাবিকারা যেমন প্রশ্ন তুলছেন তেমনি ছাত্র ছাত্রীদের মনেও নানা রকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

স্কুলের এক শিক্ষক জানান, হিন্দি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক জয়রাম কুমার সিং প্রায় ২৪ বছর ধরে এই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মদ‍্যপ অবস্থায় স্কুলে আসেন। এর আগে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে। গত বছর তৎকালীন প্রধান শিক্ষক তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তারপর ক্ষমা চেয়েছিলেন জয়রাম। তবে আবার তিনি মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসতে শুরু করেন। দেবলীনা চট্টোপাধ্যায় নামে অন্য এক শিক্ষিকা জানান, এটা স্কুলের জন্য লজ্জাজনক বিষয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে।

এদিকে, এই ঘটনায় বিদ‍্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে অবিভাবক মহলে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, ‘স্কুলের বাচ্চাদের নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আমরা চেয়ারম্যানকে অভিযোগ জমা দেব।’