KMC on rare diseases: বিরল রোগের সচেতনতায় বিশেষ ক্যাম্প করবে পুরসভা, থাকবে চিকিৎসা পরিষেবাও

বিরল রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। বিভিন্ন ওর্য়াডে ক্যাম্প করে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবাও দেওয়া হবে। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে এ খবর জানালেন ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। রবিবার সকাল ৬টায় বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে একটি ম্যারাথনের আয়োজন করছে পুরসভা।

ডেপুটি মেয়র বলেন, ‘বিরল রোগ মূলত জেনেটিক ডিসঅর্ডার। পুরসভার চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক এবং আশা কর্মীরা থাকবেন। তাদের কাছে গিয়ে মানুষ চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে পারবেন।’

এ প্রসঙ্গে ডেপুটি মেয়র আরও বলেন, ‘একটা শিশু অন্ধকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আসবে না সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এবং কাশীপুরে একটা ক্যাম্প করা হয়েছে। অনেক জায়গায় বিরল রোগের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যার জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

আরও পডুন। ২৬ ফেব্রুয়ারি–১ মার্চ ১০০ দিনের বকেয়া টাকা মিলবে, কন্ট্রোল রুম খুলছে নবান্ন

আরও পড়ুন। এবার ব্যাসল্ট খনির জন্য ডাকা হবে গ্লোবাল টেন্ডার, দেউচা পাঁচামি নিয়ে মন্তব্য অরূপের

কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা ডক্টর টি কে মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ বিরল রোগের অনেক শিশুর মৃত্যু হয়। অনেক সময় বিরল রোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। জনস্বাস্থ্য মূল কথা হচ্ছে রোগকে নির্ণয় করা। এই অভিনব উদ্যোগ একমাত্র কলকাতা পুরসভা নিতে সক্ষম হয়েছে।’ এই কর্মসূচির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া মানুষরা সচেতন হতে পারবেন।

কী ভাবে কাজ চলবে তা জানিয়েছেন অতীন ঘোষ। তিনি বলেন,’আমরা প্রথমে বিরল রোগের সমীক্ষা পরীক্ষা শুরু করব। তার পরে ১৪৪ টি ওয়ার্ডে সচেতন করা হবে। সরাসরি আমরা সাসপেক্ট ওয়ার্ডগুলি কে চিহ্নিত করব। যেখানে প্রায় ৭০০ জন আশা কর্মী দের প্রশিক্ষিত করা হবে। ১০ ওয়ার্ডে শুরু হবে কিন্তু সমস্ত ওয়ার্ডের আশা কর্মীদের প্রশিক্ষিত করা হবে। আমাদের স্বাস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্র গুলিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় প্রস্তুতি মহিলা দের স্ক্রিনিং করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

রবিবার সকাল ৬টায় বিরল রোগীদের নিয়ে একটা ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বিরল রোগীদের পাশাপশি তাদের পরিবার উপস্থিত থাকবে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরী।

এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তি চিকিৎসক দীপাঞ্জনা বলেন, ‘আমাদের এই পাইলট প্রজেক্ট কলকাতা পুরসভা সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করবে। তার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া, সমীক্ষা করা এবং তার মাধ্যমে রাজ্য সরকারের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে বিরল রোগের চিকিৎসা করা। হাইপটেনিয়া আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা বিনামূল্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। আমাদের রাজ্য একমাত্র যেখানে বিনামূল্যে বিরল রোগের চিকিৎসা করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, এই বিরল রোগের চিকিৎসা সেই ভাবে হয় না। কারণ বংশগত রোগ সেই কারণে একজন বংশে এই রোগ হলে সেই রোগ বংশের অন্যেরও হতে পারে। তবে এই বিরল রোগ কে নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।’