konnagar Child Murder: বান্ধবীকে ‘বিয়ে’ করেছিলেন কোন্নগরে সন্তান খুনে অভিযুক্ত মা, আগ্রাতে হানিমুন!

শান্তা শর্মা আর ইফফাত পরভিন। শিশু খুনের অভিযুক্ত শান্তা।আর তারই বান্ধবী পরভিন। এদিকে দুজনেই গ্রেফতার। কিন্তু দুজনেই একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারছেন না বলে খবর। পুলিশের কাছে তারা একে অপরের সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। এদিকে আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সন্তান খুনে ধৃত শান্তার পরিবারের এক সদস্য দাবি করেছেন, বান্ধবী পারভিনকে বিয়েও করেছিলেন শান্তা।

এদিকে ইতিমধ্য়েই তদন্তে নেমে শান্তা ও তার বান্ধবীর কিছু ছবি পেয়েছে। শান্তার ফোনের সূত্র ধরেই কিছু ছবি মিলেছে বলে খবর। শান্তা আর পরভিনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তারা বেড়াতে যেতেন বহু দূরে। বিহার ও দিল্লিতেও গিয়েছিলেন। তাজমহলে গিয়েছিলেন দুজনে। সেটা নাকি বান্ধবীর সঙ্গে হানিমুনে। ছেলেকে ছাড়াই। এদিকে শান্তার পরিবারের এক সদস্যের দাবি, বছর কয়েক আগে একটি মন্দিরে গিয়ে তারা মালাবদল করে বিয়ে করেছিলেন।

এদিকে সন্তানের মৃত্যুর পরেও কেমন যেন নির্বিকার শান্তা। আর সেই তুলনায় বান্ধবীর জন্য় মন কাঁদছে তার।

১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শ্রেয়াংশু খুন হয়। সেই সময় বাড়িতে শিশুটির বাবা-মা কেউ ছিলেন না বলে দাবি। আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফেরেন শিশুর বাবা পঙ্কজ শর্মা। তাঁর দাবি, শ্রেয়াংশুকে খুন করা হয়েছে।

তিনি জানিয়েছিলেন, ঘরের সিঁড়ির পাশে পড়ে থাকা থান ইট, টেবিলে থাকা গণেশমূর্তি দিয়ে আঘাত করা হয়। রান্নাঘরে পড়ে থাকা সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে ছেলের শরীর ক্ষতবিক্ষত করে খুনিরা।

তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে পরিবাররের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার পর গ্রেফতার করা হয় শিশুটির মাকে। মায়ের কললিস্ট ঘেঁটে পুলিশ তাঁর বান্ধবী ইফফাত পারভিন সম্পর্কে জানতে পারে। তার পর তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ স্পষ্ট করার চেষ্টা করছে।

সূত্রের খবর, সন্তান খুনে অভিযুক্ত মা শান্তা। কিন্তু সন্তান খুনে অভিযুক্ত হওয়ার পরেও অনুশোচনা নেই শান্তার। বান্ধবীর জন্য মন কাঁদছে তার। বার বার পুলিশকে বান্ধবীর কথা জিজ্ঞাসা করছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে সমপ্রেমের পথে কাঁটা ছিল শান্তার সন্তান। নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ ছিল সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। আর তার জেরেই ওই শিশুকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে থানায় বসেই একবার অন্তত দুজনে কথা বলতে চান। অন্তত ফোনেও কথা বলতে চান তারা। এতটাই টান তাদের।

এদিকে দুজনেই দাবি করেছে তারা খুন করেনি শিশুকে। তবে দুজনেই বার বার পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছে খাওয়া দাওয়া করছে কি না। মৃত সন্তানকে নিয়ে সেভাবে কষ্ট নেই মায়ের। তবে বান্ধবীর জন্য মন খারাপটা কিছুতেই যাচ্ছিল না। কিন্তু কেন এভাবে স্বাভাবিক আচরণ করছেন শান্তা, মৃত সন্তানের জন্য এতটুকু কান্না নেই সেটা দেখে কার্যত হতবাক অনেকেই।