Sandeshkhali: সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখকে নিয়েই ড্যামেজ কন্ট্রোলে মন্ত্রীরা, আশায় সুজয় স্যার

তপ্ত সন্দেশখালি। আর সেখানেই প্রলেপ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু ও পার্থ ভৌমিক। বলা ভালো গিয়েছিলেন দলের ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে। এদিকে শনিবার সকালে ধামাখালি থেকে সন্দেশখালি গিয়েই তাঁরা চলে যান মাস্টার মশাইয়ের বাড়িতে। কিন্তু কে এই মাস্টারমশাই? তিনি আসলে সুজয় মণ্ডল। একটা সময় তিনি ছিলেন শাহজাহান, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম মুখ। তিনি আন্দোলনে নেমে গ্রেফতারও হয়েছিলেন। শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে এখনও সরব তিনি। আর সেই আন্দোলনের মুখই এদিন ঘুরলেন তৃণমূলের দুই দাপুটে মন্ত্রীর সঙ্গে। 

এদিন গ্রামবাসীদের একাংশ রীতিমতো দুই মন্ত্রীর সামনে শাহজাহানের বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন। তবে সেখানে ব্যাপারগুলি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন দুই মন্ত্রী। তবে এদিন তৃণমূলের অনেকেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েন। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল একদিকে সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ যখন বলছেন রাজ্য সরকার মুখ বন্ধ করার জন্য নানা সহযোগিতার কথা বলছে। আর তখনই আন্দোলনের মুখকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরলেন দুই মন্ত্রী। এমনকী তাঁর কাছে তাঁরা প্রথমেই চলে যান। তারপর তাঁরা অন্যত্র যান।   

এদিকে আনন্দবাজার আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সুজয় বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে হবেই। শিবু স্থানীয়দের উপর যে অত্যাচার, সেটা নিয়ে মুখ খুলেছিলাম। সে কারণেই গ্রেফতার। 

সেই সঙ্গেই  ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, জনগণের আন্দোলনের ছিল। স্বতস্ফূর্ত আন্দোলন। তাঁদের অভাব অভিযোগের আন্দোলন ছিল। শাহজাহান, শিবু, উত্তমের বিরুদ্ধে ১০০ শতাংশ অভিযোগ ছিল। তা এখনও রয়েছে। সেই সঙ্গেই সুজয় জানিয়েছেন, ওঁরা বলছেন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবশ্য়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিকারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেখা যাক। আশা রাখি, কথা দিয়েছেন, কথা রাখবেন। 

মাস্টারমশাই। সন্দেশখালির বাসিন্দা। কর্ণখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাস খানেক আগে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল শাহজাহান, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে সেই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন এই সুজয় মণ্ডল। তবে সেই আন্দোলনকে দমাতে তৎপর হয়েছিল অনেকেই। এমনকী গ্রেফতারও হয়েছিলেন সুজয়। এদিকে ওই সুজয় মণ্ডল নিজেকে তৃণমূলের লোক বলে দাবি করেছেন। তবে এখনও অধরা শাহজাহান। সব সমস্য়া মিটেছে এমনটাও নয়। 

আর সেই শিক্ষক সুজয় মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরলেন মন্ত্রীরা। আর সুজয় বলেন, শিবু হাজরা-রা কিছু অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু সেসব প্রমাণ হয়নি।