Fire near Bypass: আনন্দপুরে বেসরকারি হাসপাতালের সামনে পরপর বিস্ফোরণ, ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই একের পর এক ঝুপড়ি

বাইপাসের ধারে আনন্দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতালের সামনে থাকা ঝুপড়িতে পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। এদিকে কলকাতায় আজ হাওয়ার গতি আছে বেশ খানিকটা। এই আবহে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে ঝুপড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে একের পর এক কান ফাটানো বিস্ফোরণ ঘটছে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে কেউ হতাহত হননি। তবে একের পর এক ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত ৫০টি ঘর ও দোকান পুড়ে গিয়েছে। এদিকে সামনেই ফর্টিস হাসপাতাল। সেখানকার চিকিৎসক এবং রোগীর আত্মীয়রাও বেরিয়ে আসেন বিস্ফোরণের আওয়াজে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দমকলের অন্তত ৪টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: ভোর থেকেই ঝোড়ো হাওয়া জায়গায় জায়গায়, বাংলার কোথায় হবে দুর্যোগের বৃষ্টি?)

আরও পড়ুন: ব্যাটারি থেকে লাগল আগুন, নিউইয়র্কের ফ্ল্যাটে মৃত্যু হল ভারতীয় সাংবাদিকের

দেখা যায়, আগুন নেভানোর জন্যে স্থানীয়রাও দমকলকর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। অনেক বাসিন্দাই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। সর্বস্ব হারানোর আতঙ্কে দিশাহারা হয়েছেন অনেকেই। ঝুপড়িতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড পুড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে গোটা এলাকা আগুনের কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে। পুলিশ সেখান থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কী ভাবে লাগল আগুন, তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া ঝুপড়িতে কেউ আটকে নেই বলে জানা যাচ্ছে। (আরও পড়ুন: বিয়ে হচ্ছিল না এলাকার ছেলেদের! ঘটকালির পথ সুগম করলেন বিধায়ক, ২ কোটি দিলেন ‘দিদি’)

আরও পড়ুন: আইপ্যাক কর্মী সেজে ‘পকেট টাকা’ হল হুমায়ুন কবীরের, মন্ত্রী করতে নেওয়া হল ঘুষ!

জানা গিয়েছে, আজ সকাল ১১টার কিছু আগে আগুন লাগে ফর্টিস হাসপাতাল সামনের ঝুপড়িতে। এরপর সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সেই অগ্নিকাণ্ডের খবর জানানো হয় দমকলকে। আগুনের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের চারটি গাড়ি। আগুনের জেরে ঝুপড়িতে কেউ আটকে পড়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা। এদিকে হাসপাতালের সামনেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও হাসপাতাল সুরক্ষিত আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আপাতত কোনও রোগীকেও সেখান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে বস্তিবাসীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঝুপড়িবাসীদের অনেকেই এই আগুনে নিজেদের সারা জীবনের কষ্টের উপার্জন হারিয়েছেন। এর জেরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। তবে অনেকেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে শেষ সম্বল বাঁচানোর চেষ্টায় দকলের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে লেগেছে। অবশ্য অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে গোটা ঝুপড়ি প্রায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে মাটিতে মিশে গিয়েছে।