Hit and Run Law: ন্যায় সংহিতার হিট অ্যান্ড রান’ধারার বিরুদ্ধে ডানকুনিতে জ্বলেছিল আগুন, জুলাই থেকে কি কার্যকর হবে সেটাও?

১ জুলাই থেকে ব্রিটিশ জমানার আইন ব্যবস্থা উঠে যাবে দেশ থেকে। সেদিন থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা সহ তিন ফৌজদারি আইন কার্যকর হবে দেশে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে এই কথা জানানো হয়েছে। এদিকে ন্যায় সংহিতা সংসদে পাশ হওয়ার পর গতবছর শেষের দিকে সেই আইনের একটি ধারার বিরুদ্ধে ডানকুনি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন শুরু করেছিলেন ট্রাক চালকরা। আসলে নতুন পরিবহণ নীতিতে আইন ভাঙলে মোটা জরিমানা ও ১০ বছরের জেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আবহে ট্রাক চালকদের বক্তব্য ছিল, যে সামান্য বেতন তাঁরা পান জারিমানা দিতেই চলে যাবে। এই আবহে আন্দোলন শুরু হয়। পরে ন্যায় সংহিতার ১০৬(২) ধারাকে স্থগিত করা হয়। জানা গিয়েছে, ১ জুলাই থেকে ন্যায় সংহিতা কার্যকর হলেও আপাতত ১০৬(২) ধারা কার্যকর করা হবে না। (আরও পড়ুন: ‘ফাঁক গলে রেহাই মিলবে না’, লোকসভা ভোটের আগে আমলা বদলি নিয়ে কড়া নির্বাচন কমিশন)

আরও পড়ুন: কল্যাণী এইমসের আগে ভারতের দীর্ঘতম কেবল ব্রিজের উদ্বোধন মোদীর, জানুন সেতুর বিশদ

উল্লেখ্য, হিট অ্যান্ড রান মামলায় কড়া শাস্তির কথা বলা হয়েছে ন্যায় সংহিতার ১০৬(২) ধারায়। সেখানে জানানো হয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে চালক যদি প্রশাসনকে না জানিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান, তাহলে তাঁর ১০ বছর জেল হবে। সঙ্গে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা। তবে আপাতত এই ধারা কার্যকর না হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ট্রাক চালকরা।

প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ কার্যকর হবে। সেইসঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধি (ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি), কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর (সিআরপিসি) এবং ১৮৫৭ সালের ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট। এর আগে গত মাসেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল যে এক বছরের মধ্যেই তিনটি নয়া ফৌজদারি আইনের বিধান কার্যকর করতে শুরু করবে দেশের সব থানা। দিল্লি, চণ্ডীগড়ের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রথমে সেই তিনটি আইন কার্যকর হবে। বিষয়টি নিয়ে এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক জানিয়েছিলেন, নয়া তিনটি ফৌজদারি আইনের সঙ্গে যাতে দেশের সব থানা খাপ খাইয়ে নিতে পারে, সেজন্য ৯০০টি ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি অধিগ্রহণের চালাচ্ছে কেন্দ্র। বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রশিক্ষকদের নিয়োগ করছে। কারণ তিনটি আইনেই প্রযুক্তি ও ফরেন্সিকের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, নয়া যে তিনটি আইন আনা হয়েছে, তাতে আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহের ক্ষেত্রে নিয়ম পালটানো হয়েছে। ই-এফআইআর দায়ের করার সুযোগ আছে। ইলেকট্রনিক নথিকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে বিচার করা হবে। প্রথমবারের জন্য গণপিটুনির মতো অপরাধকে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তি আরও কঠোর করার বিধান আছে নয়া ফৌজদারি আইনে।