Kalyani AIIMS: উদ্বোধনে আগেই ফের বিতর্ক, কল্যাণী এইমস-এর পরিবেশের ছাড়পত্র নেই, বলছে পর্ষদ

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগে এইমস কল্যাণীকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দাবি করেছে, হাসপাতালতের পরিবেশগত কোনও ছাড়পত্র নেই। কেন নেই তাও জানিয়েছে পরিবেশ দফতর। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের রায়ের কারণেই এই ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

রবিবার একগুচ্ছ এইমসের উদ্বোধন

রবিবার গুজরাটের রাজকোট থেকে এইমস রাজকোট, এইমস ভাতিন্ডা, এইমস মঙ্গলগিরি, এইমস রায়বেরেলি এবং এইমস কল্যাণীর ভার্চুয়ালি উব্দোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র নিয়ে নতুন দাবিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

এইমস কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ‘রাজ্য সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে আদালতে একটি মামলা চলছে। আদালত যা রায় দেবে, সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। এর সঙ্গে উদ্বোধনের কোনও সমস্যা নেই। নির্দিষ্ট সূচি মেনেই উদ্বোধন হবে।’

আরও পড়ুন। স্বপ্নের এইমস হাসপাতাল কল্যাণীতে, কলকাতা ফেল! ১০ টাকায় চিকিৎসা, ভর্তি হতে কত? বেড কটা?

আরও পড়ুন। বিরল রোগের সচেতনতায় বিশেষ ক্যাম্প করবে পুরসভা, থাকবে চিকিৎসা পরিষেবাও

কী বলছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ

পর্ষদ সূত্রে খবর, পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের একটি স্থগিতাদেশ রয়েছে। সেই স্থগিতাদেশ না তোলা হলে, পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। পরিবেশগত ছাড়পত্র যদি না দেওয়া যায় তবে ‘কনসেন্ট টু অপারেট’ দেওয়াও সম্ভব নয় বলে পর্ষদ জানিয়েছে।

পর্ষদের দাবি, কল্যাণী এইমসের নতুন বিল্ডিংয়ের জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত কোনও ছাড়পত্র নেয়নি সংস্থাটি। ফলে, উদ্বোধনের আগে পরিবেশের ছাড়পত্র নিয়ে নতুন করে একটি বিতর্কের শুরু হল।

প্রসঙ্গত, রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে হাসপাতালের উদ্বোধন হলেও ২০১৯ সাল থেকে পরিষেবা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিতর্কের কারণেও উদ্বোধন বাতিলের কোনও বার্তা এখনও আসেনি।

আগেও নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক

কল্যাণী এইমস নিয়ে আগেও নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে নিয়োগ নিয়ে বিতর্কে রাজনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়। বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও বঙ্কিম ঘোষের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার ওঠে। অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধেও।

 অভিযোগ রয়েছে যে, যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের উপেক্ষা করে, রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিছু প্রার্থী অভিযোগ করেছেন যে, তাদের চাকরি পেতে ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়েছে।এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে সিআইডি।