Pak Submarine in Bay of Bengal: পাক সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ মিলল বঙ্গোপসাগরে, ৯৩ নাবিক সহ সেটিকে ডুবিয়েছিল ভারতীয় রণতরী

১৯৭১ সালে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া পাকিস্তানি সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ মিলল সাগরে। ভারতীয় নৌবাহিনীর নয়া অত্যাধুনিক জলযান পাক সাবমেরিনকে খুঁজে বের করে সম্প্রতি। জানা গিয়েছে বিশাখাপত্তনমের খুব কাছেই এই পাক সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে গিয়েছিল পিএনএস গাজি নামক ডুবোজাহাজটি। সেই ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেল ভারতীয় নৌসেনার ‘ডিপ সাবমার্জেন্স রেসকিউ ভেহিকেল’। এই জলযানটি গভীর সমুদ্রে উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। (আরও পড়ুন: বাড়ছে না ডিএ, এরই মাঝে আবার রাজ্যে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর নিয়ে ভাবনা CM-এর?)

আরও পড়ুন: বছর বছরে কীভাবে সংসারের মাসিক খরচ বেড়েছে? ১১ বছর পর প্রকাশিত সরকারি রিপোর্ট

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাওয়া পাক সাবমেরিনটি আগে মার্কিন নৌবহরের অংশ ছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনীতে এই ডুবোজাহজটি ইউএসএস ডিবালো নামে ব্যবহার করা হত। পরে সেটি পাক নৌবাহিনীকে দিয়েছিল আমেরিকা। প্রসঙ্গত, ৭১-এর ভারত-পাক যুদ্ধের সময় আমেরিকা পাকিস্তানের সমর্থনে ছিল। আর ভারতের পক্ষে তখন ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। এই পিএনএস গাজির ধ্বংসাবশেষ বিশাখাপত্তনম থেকে মাত্র ২ থেকে ২.৫ কিলোমিটার দূরে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। জলের তলায় মাত্র ১০০ মিটার গভীরে এই সাবমেরিনটিকে খুঁজে বের করে ভারতীয় নৌসেনার ‘ডিপ সাবমার্জেন্স রেসকিউ ভেহিকেল’।

আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের মান ভাঙাতে বড় সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর, উলটে বোঝা বাড়বে রাজ্যের ওপরেই?

উল্লেখ্য, ডুবে যাওয়ার সময়ে পাকিস্তানের এই সাবমেরিনে ছিলেন ৯৩ জন নাবিক। যাঁদের মধ্যে ১১ জন অফিসার ছিলেন। ভারতের পূর্ব উপকূলের কাছে সমুদ্রে মাইন বসানোর জন্যে এই সাবমেরিনকে পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া আইএনএস বিক্রান্ত ধ্বংস করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পিএনএস গাজিকে। ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর পাকিস্তান ছেড়ে ৪৮০০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে বিশাখাপত্তনমের কাছে এসে পৌঁছেছিল পিএনএস গাজি। পাক সাবমেরিনকে ধ্বংস করতে আইএনএস রাজপুত নামক রণতরীকে মোতায়েন করে ভারত। সমুদ্রে পাক ডুবোজাহাজকে চিহ্নিত করে ‘ডেপথ চার্জ’-এর মাধ্যমে সেটিকে ধ্বংস করে ভারতীয় রণতরী।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাওয়া আরও এক সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ আছে বিশাখাপত্তনমের খুবই কাছে। জানা যায়, জাপানি নৌবাহিনীর আরও-১১০ সাবমেরিনকে ডুবিয়েছিল ব্রিটিশ এইচএমএএস লন্সেস্টন এবং এইচএমআইএস জুমনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জাপানি ডুপোজাহাজটিকে ধ্বংস করেছিল ব্রিটিশ রণতরীগুলি। সেই সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ অন্ধ্রের রম্বিলির কাছে সমুদ্রের তলায় রয়েছে।