Rahul Gandhi Viral Video: ‘অমিত শাহের ছেলে রিল দেখেন না, টাকা গোনেন ২৪ ঘণ্টা’, রাহুলের মন্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল

আর কয়েক মাস পরই দেশে লোকসভা ভোট হতে চলেছে। ভোট যুদ্ধের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। এদিকে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী রয়েছেন তাঁর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য়। সদ্য শনিবার তিনি সাম্ভাল-এ তাঁর ‘ন্যায় যাত্রা’য় অংশ নেন। সেখানে জনতার উদ্দেশে দেশের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি নিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দাগেন রাহুল। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে তথা ক্রিকেট প্রশসাক জয় শাহের প্রসঙ্গ।

দেশের কর্মসংস্থার পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাহুল শনিবার তাঁর ভাষণে বলেন, যদি দেশে কর্মসংস্থান থাকত, তাহলে দেশের যুবকরা ১২ ঘণ্টা ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল দেখতেন না। সদ্য শনিবার মোরাদাবাদ, আমরোহা হয়ে রাহুলের ন্যায় যাত্রা পৌঁছায় সম্ভালে। সেখানে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির নেতারাও ছিলেন হাজির। রাহুলের পাশে ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা। এদিকে, জনতার মধ্যে থেকে রাহুল ভাষণের সময় একজনকে জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি রিল দেখেন কিনা! সেই ব্যক্তি উত্তর দেন তিনি দিনে ১২ ঘণ্টা রিল দেখেন। রাহুল এরপর বলেন, ‘ভারতে কোনও কর্মসংস্থান নেই, তাই আপনারা ১২ ঘণ্টা ধরে রিল দেখছেন। আপনারা কি জানেন, বড়বড় ব্য়বসায়ীদের সন্তানরা রিল দেখেন না। তারা ২৪ ঘণ্টা টাকা গোনেন?’ এক ভিডিয়োতে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা যায়, রাহুল গান্ধী বলছেন,’ আমিত শাহের ছেলে রিল টিল দেখেন না, উনি ২৪ ঘণ্টা নিজের টাকা গোনেন।’

 

( Wanted SIMI member arrested: ২২ বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানো সিমি সদস্য পুলিশের জালে! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে পাকড়াও)

তাঁর ‘ন্যায় যাত্রা’য় রাহুল বারবার উল্লেখ করেন যে, দলিত, এসসি/এসটি ভূক্তরা কেউ কোনও নামি সংস্থায় উচ্চপদে বা মালিকানায় নেই। রাহুল বলেন, ‘ আমরা যদি কোনো কোম্পানির কর্মচারীদের তালিকা বের করি… তাহলে মালিকদের তালিকাও বের করা হোক।’ রাহুল একই সঙ্গে বলেন, ‘ একজন অনগ্রসর-দলিত মালিককে খুঁজে পাওয়া যাবে না। মিডিয়া হাউস, প্রাইভেট কলেজের মালিক বা উচ্চ আদালতের বিচারকদের তালিকা বের করুন। একই তিন থেকে চার শতাংশ মানুষ (উচ্চ বর্ণের) এই পদগুলিতে কাজ করে চলেছেন।’ রাহুল বলেন, ‘ তোমরা না খেয়ে মরে যাচ্ছ, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছ। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় কারণ এরা (সরকার পক্ষ) ভারতের যুবকদের চাকরি দিতে চায় না। তাদের কর্মসংস্থান দিতে পারছে না।’