আগামী মার্চে রাজ্যে মেগা সভা, কেন এই ৩টি জায়গাকে বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী?

সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে এখনও পর্যন্ত উত্তপ্ত রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ঠিক সেই আবহে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি হুগলির আরামবাগ, নদিয়ার কৃষ্ণনগর এবং বারাসতে সভা করবেন। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছরে রাজ্যে এই প্রথম নির্বাচনী সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে নির্বাচনী সভার জন্য কেন এই তিনটি জায়গাকে বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী? তাই নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন: ৬ এর বদলে ৮ মার্চ নারী দিবসে বারাসতে মোদীর সভা,থাকবেন সন্দেশখালির মহিলারা

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১ মার্চ রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিনই তিনি আরামবাগে সভা করবেন। এরপর ২ মার্চ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে এবং ৮ মার্চ সন্দেশখালির কাছে বারাসতে নির্বাচনী সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী কথা বলতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। আরামবাগকে সভার জন্য বেছে নেওয়ার বিশেষ কারণ রয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, হুগলিতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। তাছাড়া এখানে গত লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে ভোটের ব্যবধান খুব বেশি ছিল না। সেক্ষেত্রে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৪.১৯% এবং ৪৪.০৩% পেয়েছিল বিজেপি। তাছাড়া হুগলিতে কৃষকদের সংখ্যা অনেক রয়েছে। এই সমস্ত কারণে আরামবাগকে সভার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

আরামবাগের পর ২ মার্চ সভা হবে কৃষ্ণনগরে। সেক্ষেত্রেও বিশেষ কারণ রয়েছে। কৃষ্ণনগর থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। যদিও টাকার বিনিময় প্রশ্লের অভিযোগে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায়ছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, নদিয়ায় কৃষ্ণনগরসহ অনেক জায়গায় মতুয়াদের প্রভাব রয়েছে। সেই মতুয়াদের ভোট টানতেও বিশেষ নজর হয়েছে বিজেপির। তাছাড়া, ২০২৪-এর আগে সিএএ লাগু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, তা এখনও কার্যকর না হওয়ায় মতুয়াদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সেই অবস্থায় রাজনৈতিক মহল মনে করছে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিতে চান মোদী। এই সমস্ত কারণে কৃষ্ণনগরকে সভার জন্য বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সবশেষে বারাসতে আগামী ৮ মার্চ। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখনও তোলপাড় রয়েছে। সেই সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতেও এর প্রভাব পড়েছে। তাই সেই ইস্যুকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই এনিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতারা তৎপরতার সঙ্গে বিভিন্ন আন্দোলন সঞ্চার করছেন। সেখানে একের পর এক মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই আবহে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সন্দেশখালিতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।