Professor ‘denied’ entry in India: ‘RSS-র নিন্দা করেছি, দিল্লির কথায় ভারতে ঢুকতে দেয়নি,’ দাবি অধ্যাপকের, কে নীতাশা?

ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ‘দিল্লি থেকে আসা নির্দেশের’ কারণে তাঁকে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকেই লন্ডনে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীতাশা কৌল। যিনি লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। রবিবার তিনি দাবি করেন, দু’দিনের ‘সংবিধান ও জাতীয় ঐক্য সম্মেলন’-এ ভাষণ দেওয়ার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কংগ্রেস-শাসিত কর্ণাটক সরকার। কিন্তু তাঁর ‘গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ’-র কারণে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন নীতাশা। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

ওই অধ্যাপক অবশ্য দাবি করেন, ‘দিল্লি থেকে আসা নির্দেশের কারণেই’ ভারতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিবাসন দফতরের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অভিবাসন দফতরের তরফে আমায় কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। শুধুমাত্র বলা হয় যে আমরা কিছু করতে পারব না। দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে। আমার যাতায়াতের পুরো আয়োজন করেছিল কর্ণাটক। আমার সঙ্গে সরকারি চিঠিও ছিল। আমায় যে ঢুকতে দেওয়া হবে না, সেটা নিয়ে দিল্লির তরফে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি।’

নীতাশা দাবি করেন, তিনি মোটেও ভারত-বিরোধী নন। তিনি স্রেফ স্বৈরাচারী-বিরোধী। তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে না হলেও আমি যে অনেক বছর ধরে ডানপন্থী হিন্দু রাষ্ট্রবাদী আধাসামরিক বাহিনী আরএসএসের সমালোচনা করে আসছি, সেটার উল্লেখ করেন আধিকারিকরা। তারপর থেকে আমি অনেকবার ভারতে এসেছি। আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঢুকতে দেয়নি।’

নীতাশা কৌলের ইতিবৃত্ত

১) একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক হলেন নীতাশা। সেইসঙ্গে সমালোচনামূলক আন্তঃবিভাগীয় শিক্ষাও (ক্রিটিকাল ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ) পড়ান তিনি।

২) রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির দিল্লির শ্রীরাম কলেজ অফ কমার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকের পড়াশোনা করেছিলেন নীতাশা। ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। ‘জনগণের নীতি’ বিষয়ের উপর স্পেশালাইজেশন করেছিলেন নীতাশা। তাছাড়া অর্থনীতি ও দর্শন নিয়ে পিএইচডি করেছিলেন।

আরও পড়ুন: Sachin meets para cricketer: ‘তুমিই রিয়েল হিরো’, দু’হাত না থাকা কাশ্মীরের সেই ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা সচিনের

৩) একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ব্রিস্টল বিজনেস স্কুলে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১০ সালে ভুটানের রয়্যাল থিম্পু কলেজে যোগ দিয়েছিলেন।

৪) অধ্যাপনার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গেও যুক্ত আছেন নীতাশা। উপন্যাস এবং কবিতা লেখেন। গল্পও লেখেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীতাশা। তাঁর প্রথম বইয়ের নাম ছিল ‘ইমাজিনিং ইকোনমিক্স আদারওয়াইজ: এনকাউন্টার উইথ আইডেনটিডিটি/ডিফারেন্স।’

৫) একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘উইমেন অ্যান্ড কাশ্মীর’ (মহিলা এবং কাশ্মীর) ২০১৮ সালে ‘ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলি’-র বিশেষ সংস্করণের সহ-সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও কাশ্মীর সংক্রান্ত আরও একটি বইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন: Yana Mir on Kashmir: ‘মালালা নই, ভারতে আমি স্বাধীন, নিরাপদ’, কাশ্মীরি ভূমিকন্যার গর্জন ব্রিটিশ সংসদ ভবনে, কে এই ইয়ানা মীর