Ram Lalla Idol:খোদাইয়ের সময় অলৌকিক রাম লালা, ছবি শেয়ার করলেন অরুণ যোগীরাজ

রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে বিরাজমান রাম লালার অন্য রূপ প্রকাশ্যে আনলেন অরুণ যোগীরাজ। গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা মন্দির প্রতিষ্ঠার পর ‘গর্ভগৃহে’ স্থাপিত রাম লালা মূর্তিটি খোদাই করেছিলেন এই ভাস্করই। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় অরুণ যোগীরাজ ভাস্কর্যটির একটি ছবি শেয়ার করার সময় লিখেছেন হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো কথা। যোগীরাজ বলেছিলেন যে ‘যখন মূর্তি খোদাইয়ের কাজ চলছিল, অনুপাত এবং প্রতিসাম্য সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার পরেও, আমি অনুভব করেছি যে আমার সংবেদনশীল স্পর্শ রামলালা তৈরির চূড়ান্ত ফলাফলে একটি বড় পার্থক্য করতে চলেছে।’

ভাইরাল ছবিতে কী রয়েছে:

যোগীরাজ যে ছবিটি শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে রাম লালার ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। প্রতিমার চিবুক ধরে আবেগের চোখে দেখছেন রাম লালাকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই, পোস্টটি শেয়ার করার পর থেকে, ৭৩,০০০ এরও বেশি লাইক সংগ্রহ করেছে – এবং সংখ্যাটি ক্রমাগত বাড়ছে। লাইকের পাশাপাশি মানুষের কাছ থেকে প্রচুর মন্তব্যেরও বন্যা বইছে।

অরুণ যোগীরাজের এই ছবি সম্পর্কে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা কী বলেছেন:

একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দারুণ কাজ, আপনার জন্য গর্বিত।’ আর একজন লিখেছেন, ‘এটি খুব সুন্দর।’ তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘দারুণ কাজ, স্যার।’ এছাড়াও অনেকেই হার্ট ইমোটিকন ব্যবহার করে ছবিটি দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

অযোধ্যায় রাম লালা মূর্তি সম্পর্কে কিছু তথ্য:

উল্লেখ্য, অযোধ্যা রাম মন্দিরে স্থাপিত রাম লালার মূর্তিটি আকাশি রঙের কৃষ্ণ শিলা (কালো শিলা) দিয়ে তৈরি। ৫১ ইঞ্চি লম্বা মূর্তিটি ভগবান রামকে একটি ৫ বছর বয়সী শিশু হিসাবে ফুটিয়ে তুলেছে। বালক অবতারে ভগবান রাম একটি পদ্মের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

বিশেষত্ব:

  • মূর্তির শিশুসুলভ কোমলতা, হাত হাঁটু পর্যন্ত।
  • রামলালার মূর্তিটি শ্যাম শিলার তৈরি। এর জীবনকাল হাজার হাজার বছর, এটি জলরোধী।
  • চন্দন ও রোলি লাগালে প্রতিমায় প্রভাব পড়বে না।
  • প্রতিমার ওজন ১৫০ থেকে ২০০ কেজি।

অরুণ যোগীরাজ কে?

অরুণ যোগীরাজ বিখ্যাত মহীশূরের ভাস্করদের একটি পরিবারের অন্তর্গত। তিনি তাঁর পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের ভাস্কর। তাঁর পিতা যোগীরাজ শিল্পীও একজন মহান ভাস্কর এবং দাদা বাসভন্ন শিল্পী মহীশূরের রাজার পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই ভাস্কর্য তৈরির শখ ছিল অরুণের। এমবিএ করার পর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করলেও ভাস্কর্যকে ভুলতে পারেননি। অবশেষে, ২০০৮ সালে, তিনি চাকরি ছেড়ে ভাস্কর্য শিল্পে কর্মজীবন শুরু করেন। সিদ্ধান্ত ছিল কঠিন, কিন্তু সফল। আজ তিনি দেশের একজন সুপরিচিত ভাস্কর। তাঁর পরিবারে একাধিক ভাস্কর রয়েছে। তাঁদের পাঁচ প্রজন্ম মূর্তি তৈরি বা খোদাই করছে।