IND vs ENG: “There’s no shame in England losing to this Indian side”: Nasser Hussain get to know

রাঁচি: সিরিজে এগিয়ে থেকেও সিরিজ খোয়াতে হয়েছে। পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজ এক ম্য়াচ বাকি থাকতেই জিতে নিয়েছে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্য়াচে হায়দরাবাদে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বেন স্টোকসের (Ben Stokes) দল। কিন্তু এরপর টানা বিশাখাপত্তনম, রাজকোট ও শেষে রাঁচি টেস্টে হারতে হয়েছে। তবে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ হারা বড় করে দেখতে নারাজ নাসের হুসেন (Nasser Hussain)। যোগ্য দল হিসেবেই ভারত জিতেছে বলে মনে করেন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক।

রাঁচি টেস্টের তৃতীয় দিন প্রথম ইনিংসে একসময়ে ৩৫৩ রানের পিছু নিতে গিয়ে ১৭৭/৫ হয়ে গিয়েছিল ভারতের স্কোর। সেখান থেকে তাঁরা ৩০৭ রান বোর্ডে তুলে নেয়। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৫ রানে অল আউট হয়ে যায় স্টোকস বাহিনী। ম্য়াচটি সেখানেই হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড, এমনটাই মনে করেন নাসের। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ”ইংল্যান্ড ম্য়াচটি খেলার চতুর্থ দিনে হারেনি। তারা হেরে গিয়েছিল তৃতীয় দিনেই। দুর্দান্ত কামব্যাক করেছে ভারতীয় দল এই ম্য়াচে। যেভাবে খেলেছে গোটা সিরিজে টিম ইন্ডিয়া, তাতে ওদের প্রশংসা প্রাপ্য। অনেক তারকা প্লেয়ার খেলেনি ওদের। তরুণ ক্রিকেটাররা মিলে দলকে জয় এনে দেন সিরিজে।”

হুসেন আরও বলেন, ”ঘরের মাঠে টিম ইন্ডিয়ার রেকর্ড বরাবরই দারুণ। ভারতের সমর্থকরা সত্যিই অসাধারণ। প্রতিটা মুহূর্তে সমর্থন করে গিয়েছে তারা তাদের দলকে। এই হারের ফলে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই ইংল্যান্ড দলের। কারণ তৃতীয় দিনেই খেলা থেকে হারিয়ে গিয়েছিল তারা। এরপর চেষ্টা করেও ম্য়াচে ফিরতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৪৬ রানের যে লিড নিয়েছিল ইংল্যান্ড দল। তার বদলে ১০০ রানের লিড নেওয়া দরকার ছিল।” 

উল্লেখ্য, ম্য়াচে প্রথম দু দিন পর্যন্ত পুরোপুরি রাশ ছিল ইংল্যান্ডে হাতেই। ৩৫৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল তারা প্রথমে ব্য়াটিং করতে নেমে। ভারতের হয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপের সামনে চিনের প্রাচীরের মত দাঁড়িয়েছিলেন ধ্রুব জুড়েল। একাই প্রথম ইনিংসে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন। ১৪৯ বলের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন তরুণ উইকেট কিপার ব্যাটার। কুলদীপ যাদব ও আকাশ দীপও যোগ্য সঙ্গ দেন ধ্রুবকে। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে ম্য়াচে ফেরা শুরু করে ভারত। আর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা ভারতের স্পিন বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি।

আরও দেখুন