হাসপাতালে আনা হয়েছিল ৭ জনকে, বেঁচে আছেন আর দুই জন

নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী ওই শিশুর নাম সোহেল। তার বাবার নাম আজিজুল হক। দুর্ঘটনায় শিশুটির শরীর ৫২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এই নিয়ে আগুনে দগ্ধ সাত জনকে হাসপাতালে আনা হলেও এর মধ্যে এখন বেঁচে আছেন আর দুই জন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে পাঁচ শিশুসহ সাত জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। ওই দিনই আনার পথে রাসেল নামে তিন বছরের এক শিশু মারা যান। বাকি ছয় জনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। এর মধ্যে শনিবার এক, সোমবার দুই ও আজ বুধবার আরও এক শিশু মারা গেছে।

এ দুর্ঘটনায় বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন আমেনা খাতুন (২৪) ও জোবায়দা (২২)। এর মধ্যে আমেনা খাতুন ৮ ও জোবায়দা ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া পাঁচ শিশু হলো- রোসমিনা (৫), রবি আলম (৫), সোহেল (সাড়ে ৫ বছর), মুবাসসরা (৪) ও  রাসেল (৩)। এর মধ্যে রাসেল আনার পথে মারা যান।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক শিশু মারা গেছে। সোহেল নামে ওই শিশুর ৫২ শতাংশ শরীর পুড়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে মোট পাঁচ রোহিঙ্গা শিশু মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন আছেন দুই জন। দুর্ঘটনায় আমেনা খাতুন ব্যতীত সবাই শ্বাসনালীতে দগ্ধ হয়েছে।