Kaliyaganj MLA: লোকসভা ভোটের মুখে ফের বিজেপিতে ফিরলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক, পার্থর হাত ধরে গিয়েছিলেন তৃণমূলে

সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে ফের বিজেপিতে ফিরলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক। কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক বিজেপির টিকিটেই জিতেছিলেন। কিন্তু জেতার ৬ মাসের মধ্য়েই তিনি তৃণমূলের ভিড়ে গিয়েছিলেন। আর লোকসভা ভোটের আগে ফের সেই সৌমেন রায় ফিরে এলেন বিজেপিতে। উত্তরবঙ্গে রাজনীতিতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গেরুয়া শিবিরের কাছে। তবে উত্তর দিনাজপুর বরাবরই ছিল কংগ্রেসের ঘাঁটি। তবে পরবর্তীতে সেখানে ধাপে ধাপে বিজেপির প্রভাব বাড়তে থাকে। কালিয়াগঞ্জ একটা সময় ছিল কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির গড়। পরবর্তী সময় সেখানে দীপা দাসমুন্সি তাঁর রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। তবে সেই কালিয়াগঞ্জ থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন সৌমেন রায়। কিন্তু সেই সৌমেনের মোহভঙ্গ হল এবার। গেরুয়া শিবির ছেড়ে দিয়েছিলেন যিনি তিনি আবার ফিরলেন তাঁর পুরনো ঘরে।

রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বুধবার এই কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, সৌমেন রায় কিছুদিনের জন্য অন্যত্র গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আবার বিজেপিতে ফিরে এসেছেন।

সূত্রের খবর, তাঁর এই বিজেপিতে ফেরার পেছনে গ্রেটার নেতা তথা বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য অনন্ত মহারাজ কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে খবর। তবে সব মিলিয়ে সৌমেন রায়ের বিজেপিতে প্রত্যাবর্তন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি তৃণমূলে গিয়েছিলেন। তৃণমূল ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেছিলেন সৌমেন। তারপর বলেছিলেন, ‘আমার মন, হৃদয় তৃণমূলেই ছিল। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপি সংস্কৃতি মেলে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেভাবে বাংলার ঘরের ঘরে উন্নয়ন চলছে, তাতে সামিল হতেই তৃণমূলে ফিরে এসেছি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘মাঝে যে সময়টটুকু ছিলাম না, সেটা আমার ভুল। আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি কখনও বিজেপি করিনি।’

২১শের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সৌমেন। বিজেপির টিকিটে কালিয়াগঞ্জ থেকে জেতেনও। কিন্তু নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ‘মোহভঙ্গ’ পর্ব শুরু হয়। গত জুনে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সৌমেনের তৃণমূল-যোগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও সেই সময় সৌমেন দাবি করেছিলেন, ভুলবশত গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। তাতে অবশ্য জল্পনায় ইতি পড়েনি। পরে তিনি পার্থর হাত ধরে গিয়েছিলেন তৃণমূলে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে জেলে। বিজেপিতে ফিরলেন সৌমেন।