Sukhvinder Singh Sukhu: হিচামলে চরম সংকটের মুখে সরকার, কংগ্রেসের গদি বাঁচাতে পদত্যাগের প্রস্তাব CM সুখুর, দাবি রিপোর্টে

হিমাচলপ্রদেশে কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক ইতিমধ্যে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর বিরুদ্ধে। এই আবহে এই পাহাড়ি রাজ্যে কংগ্রেস গদিচ্যুত হে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে হাই কমান্ডের কাছে নিজের পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। বিভিন্ন রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। তবে সেই পদত্যাগের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে কি না, এবং তা গৃহীত হলে হিমাচলের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। (আরও পড়ুন: আধার বিতর্কের মাঝে বঙ্গ BJP-তে অক্সিজেন, বঙ্গে মোদীর আগমনের সঙ্গেই চালু হবে CAA?)

আরও পড়ুন: হিমাচলে রাজ্যসভার ভোটে হয় ‘টাই’, তারপরে BJP-র কাছে কীভাবে হারল কংগ্রেস?

রাজস্থানে গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্ব হোক কি ছত্তিশগড়ে ভূপেশ-দেও দ্বন্দ্ব, কোনও দ্বন্দ্বই সময়মতো মেটায়নি কংগ্রেসের হাই কমান্ড। এই আবহে কোনও ভাবে নিজেদের সময়কালের ৫ বছর টিকে গেলেও বিধানসভা ভোটে এই দুই রাজ্য হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের। এছাড়া বিগত দিনে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে বিগত দিনে ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস। এবার হিমাচলের মতো ছোট রাজ্যেও কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।

আরও পড়ুন: ক্রস ভোটিংয়ে BJP-র ঝুলিতে ‘অতিরিক্ত’ ২ আসন, রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল NDA?

এর আগে হিচামলপ্রদেশের ৬ বারের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন আজ সকালে। বিক্রমাদিত্যর পদত্যাগে আরও চাপে পড়েন সুখু। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে সুখুর বিরুদ্ধে বিক্রমাদিত্য অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী নাকি বিধায়কদের উপেক্ষা করেন। এমনকী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্রকেও অপমান করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিক্রমাদিত্য। এদিকে এই সবের মাঝে আস্থা ভোটের দাবিতে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল শিবপ্রতাপ শুক্লার সঙ্গে দেখা করে এসিছেলন বিজেপির বিধায়করা। তাঁরা কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের দাবি জানান রাজ্যপালের কাছে। এরপরই বিধানসভা থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর সহ ১৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়।

এদিকে হিমাচলে সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকার বাঁচাতে শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। জানা গিয়েছে, ভূপিন্দার সিং হুড্ডা এবং ডিকে শিবকুমারকে সেখানের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে বিক্রমাদিত্যর পদত্যাগ অবশ্য কংগ্রেসের কাছে জোর ঝটকা। এর আগে হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিক্রমাদিত্য দাবি তুলেছিলেন যাতে তাঁর মাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত হাইকমান্ড সুখুকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল। সুখুর ক্যাবিনেটে মন্ত্রী হয়েছিলেন বিক্রমাদিত্য। তবে দু’জনের সম্পর্ক যে মধুর ছিল না, তা সামনে চলে এসেছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল হিমাচলপ্রদেশে রাজ্যসভার একমাত্র আসনের নির্বাচনে টানটান উত্তেজনা দেখা যায়। উল্লেখ্য, ৬৮ আসন বিশিষ্ট হিমাচল বিধানসভায় সরকার পক্ষে আছেন ৪৩ জন বিধায়ক। এর মধ্যে কংগ্রেস বিধায়ক ৪০ জন, এবং নির্দল বিধায়ক ৩ জন। অপরদিকে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা হল ২৫। এই আবহে রাজ্যসভার একমাত্র আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত ছিল অঙ্কের নিরিখে। তবে ক্রস ভোটিংয়ে হিমাচলের থেকে ‘নিশ্চিত’ রাজ্যসভা আসনটি হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের। দাবি করা হচ্ছে, শাসক গোষ্ঠীর ৯ জন বিধায়ক বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, হিমাচল বিধানসভার ‘ম্যাজিক ফিগার’ হল ৩৫।