তামিমের দুঃখ প্রকাশ, সালাউদ্দিনের ক্ষোভ

বিপিএলে ফাইনালের ফটো সেশনে অলিখিত নিয়ম হিসেবে উপস্থিত থাকেন দুই দলের দুই অধিনায়করা। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেখা গেলো ফটোসেশনে অংশ নেননি কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস ও বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। উপস্থিত ছিলেন বরিশালের অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও কুমিল্লার জাকের আলী অনিক! 

 

অথচ সবার প্রত্যাশা ছিল দুই অধিনায়ক ট্রফি উন্মোচন করবেন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনা আহসান মঞ্জিলে।  যদিও  ট্রফি উন্মোচনে যেতে না পেরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তামিম। অন্যদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সালাউদ্দিন।

 

বরিশাল গত রাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলেছে। তার মধ্যে শুক্রবার আবার গুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল। স্বাভাবিক ভাবেই তামিমের জন্য আহসান মঞ্জিলে যাওয়াটা বেশ কঠিন ছিল। যার কারণে সেখানে যাননি তামিম। তবে ট্রফি উন্মোচনের জন্য ঐতিহাসিক স্থাপনা বেছে নেওয়ার জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। এমন জায়গায় যেতে না পারায় দুঃখপ্রকাশও করেছেন।

 

সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনের জন্য আজকে চমৎকার একটি জায়গা বেছে নিয়েছিল বিসিবি। তবে আমি সেখানে যেতে পারিনি, এজন্য দুঃখপ্রকাশ করছি বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি। অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম একটি আয়োজনে থাকা।’

 

এরপরই যেতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করেন তামিম, ‘তবে গতকাল রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট ওই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল।’

 

তামিম আরও বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই বিপিএলকে অনেক মূল্য দিয়েছি এবং এই টুর্নামেন্টকে ওপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনোই এই টুর্নামেন্টকে কোনোভাবে খাটো করতে চাইনি। বিপিএলের জন্য কোনো কিছু করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তবে আজকের পরিস্থিতিতে আমার কোনো উপায় ছিল না এবং এজন্য আবারও দুঃখপ্রকাশ করছি।’

 

তামিম ঐতিহাসিক এই স্থাপনায় যেতে না পেরে দুঃখপ্রকাশ করলেও কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এমন জায়গায় ট্রফি উন্মোচন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, ‘ইনজাস্টিস কী আমি জানি না। কিন্তু আপনি…কালকে (শুক্রবার) আমার ফাইনাল খেলা। এখন আমার অধিনায়ককে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন আড়াই ঘণ্টা জার্নি করে, আবার সে আড়াই ঘণ্টা-তিন ঘণ্টা জার্নি করে এখানে আসবে। তার তো ট্রফি দেখার চেয়ে ট্রফিটা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতিটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক না?’

 

সালাউদ্দিন মনে করেন ট্রফি উন্মোচনের জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন করা হয়নি, ‘আমার মনে হয় যে একটা প্রোপার জায়গায় নিতো, কাছে নিতো, এটা হলে আমার মনে হয় যে দুই অধিনায়কই যেতো। এটা এমন একটা জায়গায় দিয়েছে…সেখানে যে গেছে, সে এখন কোমড় নাড়াতে পারছে না। আমার মনে হয় একটা প্রোপার জায়গায় নিলে, কাছে নিলে দুই অধিনায়কই যেতো। ‘

 

/আরআই/এফআইআর/