বাংলায় পা রেখে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস–উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, নির্বাচনের জের

সামনে লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে দেশের সমস্ত রাজ্যে চষে ফেলতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাত পোহালেই মার্চ মাস। এই মাসের পয়লা এবং দ্বিতীয় তারিখে ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার—তিন রাজ্যে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। ১ মার্চ সিনদ্রি, ধানবাদ, ঝাড়খণ্ড রাজ্যে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। আর জনসভা করবেন। ৩৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন ঝাড়খণ্ডে। আর বাংলার আরামবাগে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। আসলে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নানা প্রকল্পকে হাতিয়ার করে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছেন তিনি।

এদিকে আগামী ২ মার্চ নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে ১৫ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরামবাগ, কৃষ্ণনগর আসন দুটিকে টার্গেট করেছে বিজেপি। তাই প্রকল্প দিয়েই শুরু করা হচ্ছে প্রচার। এই আসনটি জিতেছিলেন মহুয়া মৈত্র। যাঁকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারপর এই প্রকল্প উদ্বোধন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিহারেও নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। এখন নীতীশ কুমার আবার এনডিএ জোটে ফিরেছেন। তাই বিহার একগুচ্ছ প্রকল্প পাবে। তার সঙ্গে ভোটও আছে। আরামবাগে এসে রেল, বন্দর, তেলের পাইপলাইন, গ্যাস সরবরাহ এবং জল পরিশোধনের প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌মাতৃত্বকালীন ছুটিতে পার্থক্য মেনে নেওয়া যায় না’‌, বড় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের

অন্যদিকে হলদিয়া–বারাওনি তেলের পাইপলাইনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার খরচ ২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। এই পাইপলাইন বিহার–ঝাড়খণ্ড দিয়ে যাবে। হাজার কোটি টাকার পরিকাঠামো প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরে এবং ঝাড়গ্রাম, ডানকুনি, বালটিকুরি রেলের নানা লাইনের উদ্বোধন করা হবে। আবার খড়গপুরে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাওড়া, বালি, কামারহাটি এবং বরাহনগরে জলের প্রকল্প করা হবে।

এছাড়া ফোকাস করা হয়েছে কৃষ্ণনগরে। এখানেও বিদ্যুৎ, রেল এবং রাস্তার প্রকল্প নিয়ে শিলান্যাস করা হবে। আর পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে থার্মাল পাওয়ারের কাজ হবে। সেটা জানিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের ফরাক্কা–রায়গঞ্জে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ হয়েছে। বাংলায় এসে তা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর রামপুরহাট, আজিমগঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদে রেলের প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং লোকসভা নির্বাচনের আগে এভাবেই বাংলার দিকে নজর দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও নানা প্রকল্পের বকেয়া টাকা আজও পায়নি বাংলা।