Adani’s Defence Factory: গুলি-মিসাইল তৈরির কারখানায় ৩০০০ কোটি বিনিয়োগ আদানির, মেটাবে দেশের ২৫% চাহিদা

এতদিন ধরে বন্দর, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট থেকে একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে এসেছে আদানি গোষ্ঠী। এমনকী সামরিক সরঞ্জাম তৈরির ব্যবসাতেও পা দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এই আবহে এবার দুই সমরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় ৩৬২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। ভারতীয় মুদ্রায় এই বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, সামরিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য ভারত সরকার নানান পদক্ষেপ করেছে। এই আবহে দেশের সংস্থাগুলিকেই সামরিক সরঞ্জাম তৈরির জন্য উৎসাহিত করছে কেন্দ্র। আর তাই আদানিদের এই বিনিয়োগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: ধ্বংস হয় ১৯টি গির্জা… ‘ওদের হাত রক্তে রাঙানো’, পাকিস্তানকে ‘ধুয়ে দিল’ ভারত)

আরও পড়ুন: এতদিনে নামল ‘গলার কাঁটা’, শাহজাহানের গ্রেফতারির ‘ক্রেডিট’ নিতে ঝাঁপ তৃণমূলের

রিপোর্ট অনুযায়ী, আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড এয়ারোস্পেস সংস্থার অধীনে কানপুরে এই দুই কারখানা তৈরি করা হবে। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে ডিফেন্স করিডর গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে কানপুরে প্রায় ৫০০ একর জমির ওপরে আদানির সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হবে। এই কারখানাগুলিতে ছোট এবং মাঝারি ক্যালিবারের গুলি তৈরি করা হবে সামরিক বাহিনীর জন্য। এছাড়াও এই কারখানাগুলিতে তৈরি গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশকেও সরবরাহ করা হবে বলে জানান করণ আদানি। রিপোর্ট অনুযায়ী, আদানি গোষ্ঠীর এই কারখানাগুলি থেকে বছরে ১৫ কোটি গুলি তৈরি হয়ে সামরিক বাহিনীর হাতে যাবে। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর মোট চাহিদার একচতুর্থাংশ গুলি এই কারখানাগুলি থেকেই সরবরাহ করা হবে বলে দাবি করেন করণ আদানি। এছাড়াও ২০২৫ সালের মধ্যে এই কারখানাগুলিতে ২ লাখ রাউন্ড বড় ক্যালিবারের গুলি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে আদানিদের। এছাড়াও স্বল্প ও দূর পাল্লার মিসাইল তৈরির ক্ষমতাও থাকবে এই কারখানার। এই কারখানাগুলিতে প্রায় ৪০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আদানি গোষ্ঠী ভারতের সামরিক বাহিনীর জন্য ড্রোন, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম এবং রাইফেল, পিস্তলের মতো ছোট অস্ত্র তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন: ‘ভারতীয়ই নন’, ট্রেকারের হেল্পার থেকে ‘সন্দেশখালির বাঘ’, কে এই শেখ শাহজাহান?

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের ডিফেন্স করিডর স্থাপনের জন্য ১৭০০ হেক্টর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০০ হেক্টর জমি ৩৬টি সংস্থাকে বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিকে ১০৯টি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ডিফেন্স করিডরে ২৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বিভিন্ন সংস্থা। আগরা, আলিগড়, চিত্রকূট, ঝাঁসি, কানপুর এবং লখনউ জুড়ে স্থাপন করা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ ডিফেন্স করিডর। ২০১৮ সালে আলিগড়ে ৩৭০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের মাধ্যমে পথ চলা শুরু হয়েছিল এই ডিফেন্স করিডরের। সরকারের দাবি, ড্রোন, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, বিমান এবং ব্রহ্মোস মিসাইল তৈরি হবে এই ডিফেন্স করিডরে। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে বিদেশের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যেই উত্তরপ্রদেশের এই ডিফেন্স করিডর স্থপন করা হয়েছে।