OBC list inclusion row: ৮৩ সম্প্রদায়ের জন্য OBC তকমা চাইলেন মমতারা, আপত্তি কমিশনের, ৭৩টি মুসলিম- রিপোর্ট

নথিগত কোনও প্রমাণ দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও ওবিসি তালিকায় ৮৩ সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যে সুপারিশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি) কমিশন। এমনই জানানো হয়েছে একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যে ৮৩টি সম্প্রদায়কে কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৭৩টি সম্প্রদায়ই হল মুসলিম। আর অতীতে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিদের ওবিসি শংসাপত্র দেওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ওবিসি কমিশনের চেয়ারম্যান হংসরাজ গঙ্গারাম আহির। সেই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে কমিশন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিকস টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছে যে ৮৩টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তকমা প্রদানের জন্য আর্জি জানালেও কোনও প্রমাণ পেশ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায় সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে কিনা, তা যাচাই করার জন্য হাতে কোনও প্রমাণ পায়নি কমিশন। সেই পরিস্থিতিতে ছ’মাস ধরে বিষয়টি ঝুলে আছে। জট কাটাতে চারবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে তলব করা হলেও তিনি কমিশনে আসেননি। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুপারিশ খারিজ দিতে কমিশন বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ওবিসি কমিশনের চেয়ারম্যান।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ওবিসি কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে কিনা, তা নিয়ে যে নির্দিষ্ট তথ্য পেশ করতে হবে, সেটা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেই নথি খতিয়ে দেখতে হয়। কিন্তু সেই নথিগত প্রমাণই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জমা দিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ওবিসি কমিশনের চেয়ারম্যান। 

আরও পড়ুন: ST, OBC শংসাপত্র নকল করে স্কলারশিপের টাকা তুলছে জালিয়াতরা, অভিযোগ হাইকোর্টে

তিনি দাবি করেছেন, অতীতে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটাও ৮৩টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তকমা প্রদানের ক্ষেত্রে একটা বড় ফ্যাক্টর। কী অভিজ্ঞতা হয়েছে? ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ওবিসি কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গে এসে কমিশনের প্রতিনিধিরা এমন লোকজনকে খুঁজে পেয়েছিলেন, যাঁরা আদতে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি। কিন্তু তাঁরা ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে গিয়েছেন। আর সংরক্ষণের সুবিধা নিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ওবিসি কমিশনের চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন: Caste of Narendra Modi: CM হওয়ার আগে থেকেই কি মোদীর জাতি OBC তালিকাভুক্ত? নথি দেখিয়ে রাহুলকে মোক্ষম জবাব বিজেপির