আবার শিক্ষক নিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে এসএসসি, আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে

মাধ্যমিক–উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক পদপার্থীদের নিয়োগ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে এসএসসি। শর্তসাপেক্ষে এই নিয়োগ করা যায় কিনা সেটি খতিয়ে দেখছে শিক্ষা দফতর এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন বলে সূত্রের খবর। দু’‌দিন আগে বিকাশ ভবনে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিক্ষা সচিব এবং শিক্ষা দফতরের আইন অফিসার–সহ উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ। চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিকল্প পথে নিয়োগের কথা জানান এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।

কলকাতা হাইকোর্টকে সামনে রেখেই এই নিয়োগের কথা ভাবা হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি উঠে আসে। কারণ নিয়োগ করতে গেলেই নানা কারণ তুলে মামলা করে দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে আটকে যাচ্ছে নিয়োগ। যদি এখনই নিয়োগ দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে চাপের মুখে পড়তে পারে এসএসসি। তাই উঠে এসেছে শর্তাধীন নিয়োগের বিষয়টি। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের শর্তাধীন নিয়োগ করা হলে আইনি কোনও জটিলতা তৈরি হতে পারে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিক্ষা দফতর থেকে শূন্যপদের একটি তালিকা এসএসসি’‌কে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন:‌ সুব্রত বক্সির জেলা সফর থেকে বাদ কুণাল, রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা ছাড়লেন ঘোষ

তবে এই নিয়োগ হলে শর্তে বলে দেওয়া থাকবে—আদালতের নির্দেশে যদি কারও চাকরি খারিজ হয় তাহলে তা মেনে নিতে হবে। এমনটাই বলেছেন কুণাল ঘোষ। তবে এক্ষেত্রে আদালতের সম্মতি মিললেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। উচ্চ–প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে শর্তাধীন নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীরা সুপারিশ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছিলেন, নিয়োগ নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। কিন্তু, বিরোধীরা আইনি জটিলতা তৈরি করে আটকে দিতে চাইছে।

এছাড়া লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যে একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগের সুযোগ দেখা দিয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পুলিশ, দমকল, শিক্ষক–সহ নানা ক্ষেত্রে নিয়োগ হতে চলেছে। তবে তার আগে সতর্কতা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে। এই নিয়োগের বিষয়ে আগেই নির্ধারিত হয়েছিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। মোট ৫ লক্ষ নিয়োগ করার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও বার্তা দিয়েছিলেন, তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাটাই তাঁর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।