নারী নির্যাতন থেকে বাংলাকে বঞ্চনা নিয়ে আক্রমণে তৃণমূল, জবাব দিল প্রধানমন্ত্রীকে

রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরামবাগে সভা করেন। এখান থেকেই তুলে ধরেন সন্দেশখালি ইস্যু। আর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এখান থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। যদিও একটু পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজভবনে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। একটা ছোট বৈঠকও হবে বলে সূত্রের খবর। এই আবহে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দেওয়া হয়েছে। তবে জবাব সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে যাতে সবাই তা দেখতে পান। সুতরাং দামামা বেজে গেল লোকসভা নির্বাচনের।

এদিন সন্দেশখালি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‌আজ কোথায় ইন্ডিয়া গাঁটবন্ধনের নেতারা? সন্দেশখালি নিয়ে গান্ধীর তিন বাঁদরের মতো তাঁরা মুখ, চোখ, কান বন্ধ করে আছেন কেন?‌ আজ সন্দেশখালিতে যে নারী নির্যাতন হয়েছে সেটা দেখে নারী আন্দোলনের পুরোধা রামমোহন রায়ও কষ্ট পাবেন। সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে তাতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সামনে মা–মাটি–মানুষের সরকারের রূপ বেরিয়ে পড়েছে। বাংলার পরিস্থিতি গোটা দেশ দেখতে পাচ্ছে। সন্দেশখালির মা, বোনেদের সঙ্গে অত্যাচার করেছে তৃণমূল। দুঃসাহসের সীমারেখা অতিক্রম করেছে তৃণমূল।’‌

 

পাল্টা জবাব দিতে সময় নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘‌মোদীজি সারা দেশ সেদিন ক্ষেপে ছিল যেদিন মণিপুরের রাস্তায় প্রকাশ্য নগ্ন নারীদের হাঁটানো হয়েছিল। যখন নাবালিকাকে ধর্ষণ করে উত্তরপ্রদেশে একটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেদিনও দেশ ক্ষেপে ছিল। মহিলা কুস্তিগীরকে যখন বিজেপি সাংসদ যৌননিগ্রহ করেছিলেন সেদিনও দেশ ক্ষেপে ওঠে। তাহলে আপনি একটি বিষয়কে কেন চিহ্নিত করছেন?‌ দেশের মহিলারা কি আপনার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার যন্ত্র?‌’‌

আরও পড়ুন:‌ আবার শিক্ষক নিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে এসএসসি, আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে

এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের ঢ্যাঁড়া বাজিয়ে রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ফিতে কেটে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাস্তা, রেলপথ, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, আবাস, স্বাস্থ্য প্রকল্পে কেন্দ্রের খরচ এবং ভবিষ্যৎ প্রকল্প নিয়ে মোদীর গ্যারান্টি দেন তিনি। জবাবে বাংলাকে বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘‌হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী আপনাকে প্রত্যেক চোটের জবাব ভোটে দেওয়া হবে। বাংলার মানুষ মনে রেখেছে গত দু’‌বছর কেমন করে তাঁদের প্রাপ্য ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আবাস যোজনার অর্থ আটকে রাখা হয়েছে। আর তাঁরাই আপনাকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জবাব দেবেন।’‌