বিধাননগর মেলায় স্টল বসানো নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের আপত্তি, ক্ষুব্ধ মেয়র পারিষদ

সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে বিধাননগর মেলা। এই মেলার সম্পাদকের পদে ছিলেন বিধাননগরের মেয়র পারিষদ রাজেশ চিরিমার। তবে সেখানে জিলিপির স্টল বসানো নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের আপত্তির জেরে তিনি মেলার সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মেলায় গিয়েছিলেন। তবে সেখানে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গরহাজির ছিলেন রাজেশ। যদিও মেয়র পারিষদের ইস্তফার কথা অস্বীকার করেছে উভয়পক্ষ। তাদের দাবি, শুধু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

আরও পড়ুন: পকেট পার্ক করে দূষণ মোকাবিলায় নামছে বিধাননগর পুরসভা, বায়ুদূষণ রুখবে বিশেষ যন্ত্র

জানা যাচ্ছে, মেলার বাইরে জিলিপির দুটি স্টল বসানোর ব্যবস্থা করেছিলেন রাজেশ। তবে বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত তাতে আপত্তি জানিয়ে মেয়রের হস্তক্ষেপের দাবি জানান। পরে স্টল দুটি উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ হন রাজেশ চিরিমার। তাঁর বক্তব্য, তাঁর সঙ্গে কোনও রকমের আলোচনা না করেই স্টল উচ্ছেদ করা হল। আধিকারিকদের দাবি, প্যান কার্ড না থাকায় বিক্রেতারা আবেদন করতে পারছিলেন না। সেই কারণে তাদের স্টল উচ্ছেদে করে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে মনোমালিন্যের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাজেশ। তাঁর বক্তব্য, জিলিপি বিক্রেতারা সেখানে ২০ বছর ধরে স্টল দিয়ে আসছেন। সে কারণেই তিনি তাদের এবার মেলায় বসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, অভিযোগ উঠেছে রাজেশ ২টি স্টলের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র পারিষদ।

অন্যদিকে, এবছর অনলাইনে স্টল বুকিং এর পরিকল্পনা ছিল পুর কর্তৃপক্ষের। তা নিয়েও রাজেশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনি অনলাইন বুকিং ব্যবস্থার অ্যাডমিন হতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁকে করা হয়নি। এদিকে, মেলা শুরুর আগে শেষ পর্যন্ত পুর কর্তৃপক্ষ এবং মেয়র পারিষদদের স্টল বিক্রির ব্যবস্থা করতে বলা হয়। এ সমস্ত স্টল ৪০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে উদ্যোগী হয়েছেন চেয়ারম্যান।

জানা গিয়েছে, জিলিপির স্টল দুটি উচ্ছেদ হওয়ার পর রবিবার পুর কর্তৃপক্ষকে ইমেলের মাধ্যমে সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন রাজেশ। প্রসঙ্গত মন্ত্রী সুজিত বসুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত রাজেশ। এর আগেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা করেছেন তিনি। তবে ইস্তফার কথা অস্বীকার করেছেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তিনি জানান স্টল দেওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এভাবে দেওয়া যায় না। তবে ভুল বোঝাবুঝির কথা তিনিও স্বীকার করেছেন।