Kunal Ghosh: ‘সিস্টেমে মিসফিট!’ পদ ছাড়লেন কুণাল, দলকে চাপে রেখে টিকিট পাওয়ার কৌশল?

এই তো দিন কয়েক আগেও সন্দেশখালি ইস্যুতে নানা সাফাই দিচ্ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু তার মধ্য়েই কুণাল ঘোষের হলটা কী! সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ ছাড়তে চেয়ে দলের সুপ্রিমোর কাছে আবেদন করেছেন কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গেই রাজ্য়ের তরফে যে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী তার জন্য থাকে সেটাও প্রত্য়াখান করেছেন। সেই সঙ্গেই এবিপি আনন্দে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি একেবারে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বিজেপি বলে তোপ দেগেছেন। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে কুণাল ঘোষের এই অবস্থানকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।

কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো থেকে উধাও তৃণমূল শব্দ। তিনি লিখেছেন, আমি সর্বভারতীয় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসাবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমার নেত্রী। অভিষেক আমার সেনাপতি, তৃণমূল আমার দল।

সেই সঙ্গেই অপর টুইটে লিখেছেন, নরেন্দ্র মোদী বাংলার মাটিতে একরাশ কুৎসা করে গিয়েছেন। যুক্তিতে তাঁকে ধুয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ঘটনা হল তাঁর কড়া সমালোচনা মূল দায়িত্ব যাঁদের সেই দুটি আলাদা বিরোধী দলের লোকসভার দলনেতারা তো প্রধানমন্ত্রীরই লোক। এঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ। এই দুজনকে দুভাবে ব্যবহার করেন মোদী। একজনকে রোজ ভ্যালি থেকে বাঁচিয়ে গলায় বকলস পরিয়ে রেখেছেন…বিস্ফোরক কুণাল।

এর আগে জেলবন্দি অবস্থায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন কুণাল। এখনও এনিয়ে তাঁকে খোঁচা দেন অনেকেই। কিন্তু এবার কী নিয়ে অভিমান?

এদিকে ১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার জন্য প্রত্যেক জেলায় সংগঠনের প্রস্তুতি বৈঠক শুরু হয়েছে। সুব্রত বক্সি পূর্ব মেদিনীপুরে সাংগঠনিক বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। আর সেই বৈঠকে ডাকা হয়নি জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা কুণাল ঘোষকে। এদিকে এর আগে তিনি লিখেছিলেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক এবং দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার চলতে পারে না।’‌

এর আগে সাংসদ দেব পদ ছেড়েছিলেন। পদ ছেড়েছিলেন মিমিও। অনেকের মতে লোকসভা ভোটের টিকিট পাওয়ার জন্য কার্যত দলকে চাপে রাখতেই এই কৌশল। তবে কি এবার সেই পথে হাঁটছেন কুণাল ঘোষও?