Mother killed son: পথের কাঁটা সরাতে দেড় বছরের শিশুকে খুন, মা ও প্রেমিককে ফাঁসির সাজা দিল আদালত

আট বছর আগের ঘটনা। প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করতে চেয়েছিল গৃহবধূ। কিন্তু, সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দেড় বছরের শিশু। তাই প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজের দেড় বছরের শিশু পুত্রকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল মা। সেই ঘটনায় আট বছর পর ওই মহিলা হাসিমা সুলতানা এবং তার প্রেমিক ভান্নুর শাহকে ফাঁসির সাজা শোনালো আদালত। হাওড়া ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক বৃহস্পতিবার তাদের সাজা ঘোষণা করেন। হাইকোর্টে সেই সাজার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: সন্তান নিজের নয়, সন্দেহের বশে ৮ মাসের শিশুকে থেঁতলে খুন করল বাবা

কী ঘটেছিল?

মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি। ওইদিন হাওড়া স্টেশনে ফলকনামা এক্সপ্রেসের একটি কামরার আসনের নিচ থেকে শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় তদন্তে নামে হাওড়ার জিআরপি। তদন্ত নেমে জিআরপির সন্দেহ হয় শিশুর মায়ের উপর। এরপর ওই দুজনকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে। সেই ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে জিআরপি। এরপর পুলিশি জেরায় দুজনে খুনের কথা স্বীকার করে। পুলিশ জানতে পারে শাহের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল হাসিনার। ছোটবেলা থেকেই তাদের মধ্যে প্রেম ছিল। প্রেমিকার সঙ্গে থাকতে চেয়েছিল হাসিনা। কিন্তু, সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল হাসিনার দেড় বছরের ছেলে। তাই দুজনে মিলে শিশুকে খুনের পরিকল্পনা করে। এরপর হাওড়াগামী ফলকনামা এক্সপ্রেসের কামরায় শিশুপুত্রকে খুন করে একটি ব্যাগে ভরে রেখে দিয়েছিল হাসিনা এবং তার প্রেমিক।

জানা গিয়েছে, সন্তান হওয়ার পরেই স্বামীকে ছেড়ে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার টেনালি থানার অন্তর্গত রাইস মিল কলোনিতে মায়ের সঙ্গে থাকছিল হাসিনা। সেখানেই শাহের সঙ্গে প্রেমালাপ হয় হাসিনার। ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হাসিনা তার দেড় বছরের সন্তান জিসান আহমদকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে সেই ছেলেকে নিয়ে হায়দরাবাদে চলে যায়।

তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে শিশুকে ঘুমের মধ্যে ওষুধ খাইয়ে বারবার আঘাত করে হাসিনা এবং তার প্রেমিক খুন করে। দেহ উদ্ধারের পরেই তদন্ত নেমে জিআরপি শিশুর পরিচয় জানতে পারে। গ্রেফতার করার পর এতদিন ধরে হাসিনা এবং শাহকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছিল। জেল হেফাজতে থাকাকালীন আট বছর ধরে মামলা চলে। এ বিষয়ে আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আদালতের ফাঁসির সাজা ঘোষণার প্রতিলিপি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। হাইকোর্ট এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।