Partha-Arpita Relation: আদালতে তুলে ধরা হল অর্পিতা-পার্থর ঘনিষ্ঠতার ‘নিদর্শন’, দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা জারি

ছিলেন ‘বন্ধু’, হলেন ‘কাকা’। সম্প্রতি আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের মামলার শুনানি চলাকালীন তাঁর আইনজীবী দাবি করলেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ‘কাকা’ ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে পার্থর আইনজীবীর এই যুক্তি মানতে নারাজ ইডি। হাই কোর্টে জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক প্রসঙ্গে বলেন, ‘অর্পিতা মুখোপাধ্যায় শিশু দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। তাতে অর্পিতাকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এও বলেছিলেন, অর্পিতার কিছু হলে সেই শিশুর দেখভালের দায়িত্ব নিজেই নেবেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পারিবারিক বন্ধু। সেখান থেকে কাকুতে পরিণত হয়েছেন তিনি। পার্থর নির্দেশেই অর্পিতা যাবতীয় কাজ করতেন। পার্থর নির্দেশেই গোয়া এবং থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন অর্পিতা। সঙ্গে ছিলেন স্নেহময় দত্ত। পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক কী, তা আমাদের জানা নেই। তবে স্নেহময়ের বক্তব্য আদালেতর সামনে পেশ করা হল। তা থেকে এই সম্পর্কের বিষয়ে ধারণা স্পষ্ট হয়।’ (আরও পড়ুন: নজরে মহিলা ভোট, BJP-কে টেক্কা দিতে রাজ্যে সস্তায় গ্যাস বিক্রির ঘোষণা সরকারের)

আরও পড়ুন: ‘…গ্যাসের দাম ২০০০ হবে’, মমতার দাবির পর বাংলায় LPG সিলিন্ডারের দাম বেড়ে ১৯১১ হল

এর আগে আদালতকে জানানো হয়েছিল, অর্পিতার এলআইসি পলিসিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘কাকা’ বলে উল্লেখ করা ছিল। এই আবহে পার্থর আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, ‘ব্যবসায়িক কারণে সম্পর্কে থাকলেও অর্পিতা কীভাবে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী, সেটা কীভাবে জানা সম্ভব? আসলে টার্গেট করা হয়েছে পার্থবাবুকে।’ দাবি করা হয়, অর্পিতাকে ২০১১ সাল থেকে চিনতেন পার্থ। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকেও। তখন থেকেই দু’জনের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে জোর চর্চা চলেছে বাংলা জুড়ে। আর পার্থর জামিন মামলায় ফের এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নতুন করে। (আরও পড়ুন: মঙ্গলে নির্মলা দর্শন ডিএ আন্দোলকারীদের, আর বৃহস্পতি রাতেই এল লক্ষ্মীলাভের খবর!)

আরও পড়ুন: মোদীর বঙ্গ সফরের আগে ভোররাত পর্যন্ত বৈঠক দিল্লিতে, চূড়ান্ত ৫০% প্রার্থীর নাম

এদিকে পার্থর জামিনের পক্ষে তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার পুরোটাই অর্পিতার বাড়ি থেকে মিলেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এদিকে ইডির দাবি, যেখানে অর্পিতা দত্তক নিতে চেয়ে পার্থকে ‘নমিনি’ করেছিলেন, সেখানে দু’জনের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা আছে। এই আবহে ইডি-র আইনজীবী মন্তব্য করেন, ‘এর আগে এমন কোনও ঘটনা দেখা যায়নি, যেখানে ৫৪ কোটিরও বেশি টাকার মালিকানা ছাড়তে দুজনে মারামারি করছেন। দুজনেরই বক্তব্য, এই টাকা তাঁদের নয়।’ এরপর ইডির তরফ থেকে বলা হয়, ‘এই টাকার উৎস কী, তা সবটাই জানেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে অর্পিতাও। তাই দুজনের কারোরই জামিন পাওয়া উচিত নয়।’ আগামী ৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।