Wakeel Hasan: সব সম্মান শেষ! উত্তরাখণ্ডের টানেল বিপর্যয়ে উদ্ধারকারীর ঘরই ভেঙে দিল DDA

উত্তরাখণ্ডে টানেল বিপর্যয় হয়েছিল। সেই সিল্কিয়ারা টানেল বিপর্যয়ের পরে যে উদ্ধারকাজ হয়েছিল তাতে বড় ভূমিকা ছিল ওয়াকিল হাসানের। আর সেই ওয়াকিলের দু কামরায় বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দিল দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। তার বাড়ি সরকারি জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে তার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। তবে আপাতত অস্থায়ীভাবে তাঁকে উত্তরপশ্চিম দিল্লির নারেলা এলাকায় একটা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য বরাদ্দ ফ্ল্য়াট দেওয়া হয়েছে। তাঁকে একটি কাজের সন্ধানও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

তবে তাঁর স্ত্রী উত্তর পূর্ব দিল্লিতে থাকার জায়গা চেয়েছেন। কারণ তার সন্তানরা ওখানেই পড়াশোনা করেন। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে। 

উত্তরাখণ্ডে সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়েছিলেন শ্রমিকরা। সেই শ্রমিকদের উদ্ধারে অন্যতম বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ওয়াকিল হাসান। যে টিমটা Rat হোলের মাধ্য়মে শ্রমিকদের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন সেই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন হাসান। আর সেই হাসানকেই দেখা গেল তার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার বাসনপত্র সব বাইরে বের করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছে, আমার সঙ্গে একেবারে দুষ্কৃতীর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। 

ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, আমাকের ক্রিমিনালের মতো ব্য়বহারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আধিকারিকরা আমার সন্তানদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। ওরা আমার বাড়িতে ঢুকে আমার ঘর ভেঙে দিল। 

তিনি জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ড যাওয়ার সময় আমি দুবার ভাবিনি। জীবনের মায়া ত্যাগ করে ওখানে ছুটে গিয়েছিলাম। আমার চোখের সামনে বাড়িটা ভেঙে দিল। আমি যে সম্মান এতদিন পেয়েছিল সব চোখের সামনে চূড় চূড় করে ভেঙে গেল। 

তবে ডিডিএর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, পরে জানা যায় যে ওটি হাসানের বাড়ি।  তিনি সিল্কিয়ারা-বারকোট অপারেশনে ছিলেন। তবে তাঁর কাছে আধকারিকরা গিয়েছিলেন। তাঁকে একটি ফ্ল্যাট অফার করা হয়েছে। সাময়িকভাবে তাঁর কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওয়াকিল ও পরিবারের সুবিধার জন্য় এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে ডিডিই ইতিমধ্য়েই ওই এলাকায় পাঁচ ফুট উঁচু পাঁচিল তুলে দিয়েছে। যাতে সেই জায়গা অপব্যবহার করা না হয়। ওয়াকিল জানিয়েছেন, আমার মেয়ে পরীক্ষাটাও দিতে পারল না এই টেনশনের জন্য। একেবারে ভেঙে পড়়েছে গোটা পরিবার। যেন মাথার উপর গোটা টানেল ভেঙে পড়েছে।