নন্দীগ্রাম দিবসকেই বেছে নিলেন অভিষেক, উত্তর থেকে দক্ষিণে পাঁচটি মেগা জনসভা

সামনে লোকসভা নির্বাচন। নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই আবহেই রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী পর পর সভা করছেন বাংলায়। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডের সভা ডাকা হয়েছে। এখানে প্রধান বক্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই ব্রিগেড সমাবেশের পর পাঁচটি মেগা জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে সেই সভার সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে ব্রিগেডেরই পরই বাংলায় প্রচার শুরু করতে নামছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জোরকদমে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। জনগর্জন সভার পরই জেলায় পাঁচটি জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই সভার সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। ব্রিগেডের পর টানা জনসভার কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। ১৪ মার্চ থেকে শুরু হবে সেই জনসভার কর্মসূচি। লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে জনসভা করবেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। নন্দীগ্রাম দিবসের দিন থেকেই জেলা সফর শুরু করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন তিনি জলপাইগুড়িতে সভা করবেন।

আরও পড়ুন:‌ কৃষ্ণনগরের সভায় মহুয়াকে আক্রমণ করলেন সুকান্ত–শুভেন্দু, নীরব রইলেন মোদী

অন্যদিকে এরপর ১৬ মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে অভিষেকের সভা আছে। তারপর অভিষেক আবার যাবেন উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে জনসভা করবেন ১৮ মার্চ। সেখান থেকে আবার দক্ষিণবঙ্গে ভোটপ্রচার করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধায়। ২০ মার্চ বসিরহাট এবং ২২ মার্চ পূর্ব বর্ধমানে জনসভা করতে যাবেন অভিষেক। সম্প্রতি সন্দেশখালি ইস্যুতে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে বসিরহাটে অভিষেকের জনসভা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্রই ২০১৯ সালে গিয়েছিল বিজেপির দখলে। জলপাইগুড়ির সাংসদ হন জয়ন্তকুমার রায় আর বালুরঘাটে জয়ী হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

এছাড়া ব্রিগেডে সমাবেশ থেকে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে বার্তা দিতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই দলের সেনাপতি নামছেন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে। মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জিতেছিলেন। সুতরাং এই তিন কেন্দ্রে এবার ঘাসফুল ফোটাতে ভোট প্রচার শুরু করতে চলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।