Bengaluru Blast Latest Update: চুপিসারে ব্যাগ এনে রেখে দিয়েছিল ক্যাফেতে, প্রকাশ্যে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের ‘মুখ’

শুক্রবার বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় অবস্থিত জনপ্রিয় একটি ক্যাফেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে বেলার দিকে। সেই বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন জখম হয়েছেন। এবার সেই বিস্ফোরণের নেপথ্যে থাকা আসল অপরাধীর ছবি প্রকাশ্যে এল। ঘটনার কিছু আগের সিসিটিভি ফুটেজে সেই মুখ ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, সেই সন্দেহভাজন একটি আসনে ব্যাগ রেখে বেরিয়ে গিয়েছিল। সেই ব্যাগেই বোমা রাখা ছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ। এই আবহে তদন্তে নেমে পুলিশ এক সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। (আরও পড়ুন: পাওয়ারপ্লেতে মোদীর ব্যাটিং কি আরামবাগ-কৃষ্ণনগরে জেতাবে BJP-কে? কী বলছে সমীক্ষা?)

আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তির’ নাম সন্দেশখালি, শাহজাহান কাঁটায় কি বসিরহাট লোকসভা আসনে হারবে তৃণমূল?

সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের চোখে এক যুবকের গতিবিধি ধরা পড়েছে। টুপি পরিহিত সেই যুবককে ব্যাগ হাতে ক্যাফেতে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছিল। কিছুক্ষণ সেখানে থেকে ক্যাফের মধ্যেই নিজের কাঁধের ব্যাগটি রেখে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় সেই যুবককে। সেই সন্দেহভাজনের সঙ্গে আরও একজনের কথাবার্তা হয়েছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। সেই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এদিকে যে মূল অভিযুক্তকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ চিহ্নিত করেছে, তার মুখ ঢাকা। টুপি, মাস্ক, চোখে চশমার জেরে মুখ ঠিক ভাবে দেখা যায়নি ভিডিয়োতে। তাঁকে এক প্লেট ইডলি হাতে ক্যাফেতে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: আজ ফের জনসভা মোদীর, কৃষ্ণনগর থেকে কি দেওয়া হবে CAA বার্তা?

উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট ও ১টার মাঝে কোনও এক সময়ে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণটি ঘটেছিল। প্রাথমিক ভাবে সিলিন্ডার ফেটে এই বিপত্তি ঘটেছে বলে অনুমান করা হয়েছিল। তবে তদন্তের পর দেখা যায়, এটা পূর্বপরিকল্পিত আইইডি বিস্ফোরণ। সেই বিষয়টি পরবর্তীতে নিশ্চিত করেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিজে। এই আবহে ইউএপিএ এবং বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জোর কদমে তদন্ত চলছে। এদিকে এনআইএ এই মামলার তদন্তে নেমে পড়েছে। এদিকে জখম ব্যক্তিরা আপাতত চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ ও এনআইএ তদন্তকারীরা তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

এদিকে এই বিস্ফোরণ নিয়ে রাজনীতি না করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তদন্তে সবদিক দিয়ে সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এদিকে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসেছেন। পরে শিবকুমার বলেন, ‘২৮ থেকে ৩০ বছর বয়সি এক যুবক কাউন্টার থেকে রভা ইডলি কিনেছিল। সে একটি ব্যাগ রেখে দিয়ে চলে যায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পরে বিস্ফোরণটি ঘটে।’