BJP leaders on CAA: ‘সিএএ হয়ে গিয়েছে…’, মোদী কিছু না বললেও বড় মন্তব্য সুকান্ত-শমীকদের

বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। একদিকে যেখানে এই ইস্যুতে তৃণমূলের তরফ থেকে তোপ দাগা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে, অপরদিকে মতুয়াদের উদ্দেশে বারবার আশ্বাসবাণী দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই সবের মাঝেই আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল বাংলার অনেকের। এই পরিস্থিতিতে ময়দানে নামতে হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী, শন্তনু ঠাকুরদের। সাধারণ মানুষকে অভয় প্রদন করে ‘সমস্যা’ মেটানোর বার্তা দেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। আর আজ মোদীর ভাষণে সিএএ উল্লেখ না থাকলেও দাবি করা হচ্ছে, শুভেন্দু এবং সুকান্তর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয় প্রধানমন্ত্রীর। (আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে বাংলা BJP না TMC-র? আসন ধরে ধরে জানুন কে এগিয়ে কোথায়, যা বলছে সমীক্ষা…)

আরও পড়ুন: জনসভা শেষ হতেই সুকান্ত-শুভেন্দুকে ডাকলেন মোদী, প্রর্থী জল্পনার মাঝে বৈঠকে ৩ জন

এদিকে আজ মোদীর ভাষণে সিএএ-র উল্লেখ না থাকা নিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হয় জনসভা শেষে। সেই সময় সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘সিএএ হয়ে গিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তো বলে দিয়েছেন। এখন শুধু নিয়ম আসার দেরি। আ একই কথা প্রধানমন্ত্রী মোদী কতবার রিপিট করবেন।’ এদিকে আজকে এই নিয়ে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকেও প্রশ্ন করা হয়। সেই সময় শমীক বলেন, ‘সিএএ তো হবেই। সিএএ না হলে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে। নদিয়ার যে সকল দেশপ্রেমী মুসলিম আছেন, যারা ১৯৪৭ সালে ভারত ছেড়ে চলে যাননি… আর যে উদ্বাস্তুরা এখানে এসেছেন, সবার স্বার্থে এনআরসি হবে, সিএএ হবে।’

আরও পড়ুন: ছিল না সিএএ-র উল্লেখ, কৃষ্ণনগরের সভাতেও মোদীর গলায় সন্দেশখালি, দুর্নীতি ইস্যু

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের হিন্দু সহ ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। ২০১৯ সালে এই আইনটি সংসদের অনুমোদন পেয়ে তৈরি হয়েছিল। তবে এই আইনের নিয়ম তৈরি হয়নি এতদিনে। তবে সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সিএএ সংক্রান্ত নিয়ম তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই আবহে লোকসভা ভোটের আগেই তা কার্যকর করা হবে বলে দাবি করা হয়েছে এএনআই-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে।

আরও পড়ুন: BJP-র বদলে KKR-কে ‘অগ্রাধিকার’, লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ঘোষণা গৌতম গম্ভীরের

এর আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনলাইনেই আবেদন জানানো যেতে পারে। এর জন্য অনলাইন পোর্টালও তৈরি হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়া অনলাইনেই করা হবে। সেখানে আবেদনকারীদের শুধু জানাতে হবে যে কোন সালে বিনা নথিতে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের কাছ থেকে কোনও নথি চওয়া হবে না। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পদক্ষেপ করছে। এর আগে বিগত ৪ বছর ধরে সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার টালবাহানা করেছে। কোভিডের আগে দেশ জুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এই আবহে আইনটি কার্যকর হলেও তা প্রয়োগ করা হয়নি। শাহ দাবি করেছিলেন, কোভিড চলে গেলেই সিএএ-র নিয়ম তৈরি করে তা প্রয়োগ করা হবে। আর লোকসভা ভোটের আবহে বঙ্গ বিজেপির নেতারা সিএএ নিয়ে সরব হয়েছেন বারবার।