Darling: লেডি পুলিশকে ‘ডার্লিং’ বলে ডাক, যুবকের জেল-জরিমানা, বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের

কোনও অপিরিচিত মহিলাকে যদি কেউ ডার্লিং বলে ডাকেন তবে সেটা আইনের চোখে দোষী। এর সঙ্গে যৌন আবেদনমূলক একটা ব্যাপার থাকে। সেকশন ৩৫৪এ(আই) ধারা এক্ষেত্রে আরোপিত হতে পারে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট এনিয়ে জানিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার এনিয়ে জানিয়েছে।

 বার অ্য়ান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জনৈক জনক রাম নামে এক ব্যক্তি কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় এক লেডি পুলিশ অফিসারকে কেয়া ডার্লিং চালান করনে হ্যায় কেয়া বলে ডেকেছিলেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

বিচারপতি সেনগুপ্ত সেকশন ৩৫৪এ-র কথা উল্লেখ করেন। যৌন আবেদনমূলক এই বক্তব্য বলে এটাকে গণ্য করা যেতে পারে। বিচারপতি সেকশন ৩৫৪ এর ধারার কথা উল্লেখ করেছেন। 

বিচারপতি জানিয়েছেন, এক অচেনা মহিলাকে তিনি পুলিশ কনস্টেবল হোন অথবা নাই হোন রাস্তায় তাঁকে এইভাবে ডাকা, তিনি মদ্যপ অবস্থায় থাকুন অথবা নাই থাকুন এই ধরনের ডার্লিং শব্দটি তাঁর জন্য় ব্যবহার করা এটা কখনওই উচিত নয়। এই শব্দটি অপিরিচিতের কাছে একেবারেই যৌন কটাক্ষমূলক শব্দ। 

সেই সঙ্গেই কোর্ট জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। সেই সঙ্গেই বিচারপতি জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য যদি একেবারে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বলা হয়ে থাকে তবে এই অপরাধের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। 

সেই সঙ্গেই আদালতের তরফে বলা হয়েছে কোনও ব্যক্তি অচেনা কোনও মহিলাকে এভাবে ডার্লিং বলে সম্বোধন করতে পারেন না। এটা অমার্জিত। সূত্রের খবর, ওই মহিলা পুলিশ কর্মী ও তাঁর অন্য়ান্য সহকর্মীরা দুর্গাপুজোর আগে রাস্তায় ভিড় সামলাচ্ছিলেন। এদিকে পুলিশ জানতে পারে যে একজন ব্যক্তি এলাকায় মারাত্মক ঝামেলা তৈরি করছে। 

এরপরই পুলিশ সেখানে যায়। এরপর পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিকে তুলে আনে। এদিকে জায়গাটি কিছুটা অন্ধকার থাকায় ওই ব্যক্তিকে নিয়ে কাছের একটা দোকানের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল। তখনই ওই ব্যক্তি এক মহিলা কনস্টেবলকে ডার্লিং বলে সম্বোধন করেন। এরপরই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়। এদিকে আদালত ওই ব্যক্তিকে তিন মাসের সাধারণ কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গেই তার উপর যে দুটি ধারা লাগু করা হয়েছে তার প্রত্যেকটির জন্য় তাকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।