Kunal Ghosh: সাধারণ সম্পাদক পদেও থাকব না, ইস্তফা গ্রহণ করুন… আর মুখপাত্র নন কুণাল, ‘স্বর্গ-নরক সব দেখেছি’

তৃণমূলে জোর ডামাডোল। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে দলের প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে একেবারে নাম করে তোপ দাগছেন কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গেই বিধায়ক তাপস রায়ও সুর চড়াতে শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে দলের মধ্য়ে অস্বস্তি একেবারে চরমে উঠেছে। এদিকে সূত্রের খবর, এসবের মধ্য়েই কুণাল ঘোষ দলের মুখপাত্রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আর দল সেই পদত্য়াগপত্র গ্রহণ করেছে বলে খবর।

কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,

‘আমি তৃণমূলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম।

খবর পেয়েছি, শুধু মুখপাত্র থেকে ইস্তফার অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

দলের কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ, সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও ইস্তফাটি গ্রহণ করা হোক। আমি ওই পদে থাকব না।

আমি শুধু কর্মী হিসেবে থাকব।’

 

কুণাল ঘোষ এবিপি আনন্দে জানিয়েছেন, আমার সমস্যা হচ্ছে। আমি সবিস্তারে বলতে চাই না। মুখপাত্রের পদ থেকে যে ইস্তফা দিয়েছিলাম সেটা গৃহীত হয়েছে বলে জেনেছি। রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছি। সেটাও গৃহীত হোক এটাই চাই। আমি প্রতিষ্ঠিত নেতাও নই, পোড় খাওয়া নেতাও নই। …কুণাল ঘোষ অনুগত সৈনিক এটা দেখানোর জন্যই আমি দল করছি।

সেই সঙ্গেই মিঠুন চক্রবর্তীর প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। কুণাল বলেন, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। কিন্তু তিনি অন্য় দলে। তিনি আমার নেত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম। সেকারণে আমিও বলেছিলাম। …আমি জীবনে অনেক কিছু দেখেছি…আমি স্বর্গ নরক দেখেছি। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, শুভেন্দু আমার ব্যক্তিগত শত্রু নন আবার ব্যক্তিগত বন্ধুও নন।…সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমি এই চেয়ারটাতে থাকতে চাই না। এমনকী তিনি জানিয়েছেন, কুণাল বিশ্বাসঘাতক নয়, এটা বোঝানোর জন্য দলটা করে যাচ্ছি।

কিন্তু এসব নিয়ে কী বললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম?

এনিয়ে সংবাদমাধ্য়মের প্রশ্নের উত্তরে বিশেষ কিছু বলতে চাননি তিনি। ফিরহাদ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। আমি বললে আবার বিস্ফোরণ হবে। কুণাল কী বলেছেন আমি কিছু শুনিনি। যদি কিছু শুনি তখনই বলতে পারব।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একেবারে পোড়খাওয়া রাজনৈতিক নেতাদের মতোই তিনি একথা জানিয়েছেন। কার্যত গোটা বিষয়টি নিয়ে আর তিনি এমন কোনও মন্তব্য করতে চাননি যাতে বিতর্কটা অন্যদিকে ঘুরে যেতে পারে।