‘আমার সঙ্গে বারবার কেন এরকম ঘটছে?’ ‘বেঁচে গেলেও’ তদন্তের দাবি সুকান্তের

গাড়ি দুর্ঘটনায় সামান্য চোট পেলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তাঁর কনভয়ে থাকা এক নিরাপত্তারক্ষীর চোট কিছুটা গুরুতর বলে প্রাথমিকভাবে খবর মিলছে। চালককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার নদিয়ার ধুবুলিয়ায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে আসেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। সেখান থেকে ফেরার সময় ধুবুলিয়ায় বাবলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে যা খবর মিলেছে, তাতে সুকান্তের কনভয়ের সামনে একটি বাস ছিল। সেই বাসকে ওভারটেক করে সুকান্তের কনভয়ের গাড়িগুলি বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ওভারটেক করতে গিয়ে পুলিশের ব্যারিকেডে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। তারপর পরপর সুকান্তের কনভয়ের কয়েকটি গাড়ি ধাক্কা মারে। তার জেরেই চোট পান বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়ির সামনের দিকের অংশ। চালককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে চোট পেলেও সুকান্ত বেশিক্ষণ সেখানে থাকেননি। দুর্ঘটনাস্থল থেকেই নিজের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। তার আগে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ছিল না। রাস্তার মধ্যে একটি ব্যারিকেড তৈরি করা ছিল। প্লাস্টিক দিয়ে লেগেছে। আমাদের প্রায় তিন-চারজন আহত হয়েছে। ভাগ্য ভালো যে আমি বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু বাববার কেন আমার সঙ্গে এরকম ঘটছে, সেটার তদন্ত হওয়া উচিত।’

উল্লেখ্য, সপ্তাহকয়েক আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন সুকান্ত। সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেইসময় সাত বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অবিলম্বে তাঁদের মুক্তির দাবিতে ধরনায় বসে পড়েছিলেন সুকান্ত। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। তারইমধ্যে পুলিশের গাড়ির উপরে উঠে গিয়েছিলেন। আচমকা দেখা গিয়েছিল যে তাঁকে নামিয়ে আনা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: BJP’s blunder in Assam Lok Sabha list: যে আসনের অস্তিত্বই নেই, সেখানে প্রার্থী দিল BJP, অসমের তালিকায় করল ভুলের পর ভুল

বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল যে গাড়ির বনেটে উঠে যাওয়ার পরে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন সুকান্ত। পরবর্তীতে অবশ্য জ্ঞান ফিরে এসেছিল বঙ্গ বিজেপির সভাপতির। তাঁকে দ্রুত বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে করা হয়েছিল প্রাথমিক চিকিৎসা। কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির সভাপতিকে। কলকাতায় কয়েকদিন হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং মিঠুন চক্রবর্তীরা।

আরও পড়ুন: TMC on Justice Abhijit Ganguly: ‘২০২৬-তে মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই লক্ষ্য জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের’, আয়নায়…, দাবি বাবুলের