উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মীদের আন্দোলনের জেরে আটকে গেল বেতন

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অচলাবস্থা কিছুতেই কাটছে না। গত কয়েকদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অস্থায়ী কর্মী, শিক্ষকরা। তবে তাদের টানা কয়েকদিনের আন্দোলনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মী শিক্ষক আধিকারিকদের বেতনই আটকে গেল। আন্দোলনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের কাজকর্ম একেবারে বন্ধ থাকে। তারফলে শুক্রবার মাসের প্রথম দিনে কেউ বেতন হাতে পেলেন না। শুধু শিক্ষক কর্মী আধিকারিকাই নয়, তাদের আন্দোলনের ফলে অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন এবং পড়ুয়াদের বৃত্তির টাকাও আটকে গেল।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশই পড়ুয়াই ফেল, বই দেখে লেখা যায়নি এবার!

বেতন বৃদ্ধি দাবিতে অস্থায়ী কর্মী শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে গত মঙ্গলবার থেকে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছে। এর আগে বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই নির্দেশ হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়ে বাতিল করে দেন উপাচার্য সিএম রবীন্দ্রন। কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে শনিবার বৈঠক হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে ক্ষেত্রে উপাচার্যকে জানিয়ে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে দাবি ওঠে। এই অবস্থায় উপাচার্য কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সোমবার পর্যন্ত দেখা হবে। না হলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে বিভাগীয় এবং প্রশাসনিক আধিকারিককে ক্ষমতা দেবেন। তবে এক্ষেত্রে উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া এভাবে কাজ করতে পারেন কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের তরফে বেতন নথিপত্র মাসের প্রথম দিন ব্যাঙ্কে জমা করা হয়। তারপরে বেতন হয়ে থাকে শিক্ষক, কর্মী, আধিকারিকদের। তবে ফিন্যান্স বিভাগের কাজকর্ম বন্ধ থাকায় সেই নথিপত্র ব্যাঙ্কে জমা করা সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি জনের বেতন আটকে রয়েছে। প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপে উপাচার্য অস্থায়ী কর্মী শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ বাতিল করেছিলেন। সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করার জন্য উপাচার্যকে আর্জি জানাতে রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবারের বৈঠকে ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিতে সকলে মত দিয়েছে। উপাচার্য তাদের আর্জি না মানলে রেজিস্ট্রারকে ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। তবে হোয়াটসঅ্যাপে তিনি সেই নির্দেশিকা বাতিল করেন উপাচার্য। এদিকে, বর্তমান রেজিস্ট্রারের মেয়াদ রয়েছে আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত। তাই আন্দোলনকারীরা চাইছেন তার আগেই বিষয়টি সমাধান হয়ে যাক। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, বেতন বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।