Anganwadi centre: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না হচ্ছে পোকা ভরতি চাল-ডাল, তদন্তের নির্দেশ

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে পোকামাকড় বা টিকটিকি থাকার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এরইমধ্যে ফের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে পোকামাকড় থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ, পোকামাকড়ে ভরতি থাকা সত্ত্বেও চাল ডাল রান্না করা হচ্ছে। আর সেই খাবার দেওয়া হচ্ছে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি হাওড়ার চামড়াইলের দক্ষিণপাড়া এলাকার একটি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে সিদ্ধ টিকটিকি, খেয়ে অসুস্থ ৩০, তদন্তের নির্দেশ

জানা গিয়েছে, ডোমজুরের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ২৩ জন শিশুর জন্য রান্না করা হয়। এছাড়াও গ্রামের গর্ভবতী মহিলাদের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খাবার দেওয়া হয়। শিশুদের বয়স ৩ থেকে ৬ বছরের মধ্যে। সেখানে তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের খাবার দেওয়া হয়। কয়েক বছর ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চাল ও ডালে তারা কালো পোকা দেখতে পাচ্ছেন। সেই পোকা

ভরতি খাবার শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের আশঙ্কা, এই খাবার খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে উঠতে পারে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। চাল ডালে পোকা থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা এবং রাঁধুনি। তাদের বক্তব্য, তাদের একসঙ্গে আড়াই মাসের চাল ডাল দেওয়া হয়। সেই চাল ও ডালে পোকা থাকছে। তাই রান্না করার আগে তারা ভালো করে চাল ডাল রোদে দেন। তার পরে সেগুলি রান্না করা হয়। তবে তাতেও পোকা থেকে গেলে রান্না করার সময় সেগুলি দিয়ে ছাঁকনি দিয়ে তুলে দেওয়া হয়।

এই অবস্থায় অনেক সময় পোকা ভরতি চাল ডাল শিশুদের না খাইয়ে প্রথম পথ কুকুরদের খাইয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন অভিভাবকরা। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ডোমজুড় ব্লকের প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট অফিসের আধিকারিকরা সেখানে ছুটে যান। তারা চাল-ডাল এবং রান্না করা খাবার খতিয়ে দেখেন। ওই প্রোজেক্টের সুপারভাইজার জানান, অনেক পুরনো চাল ডাল মজুত থাকার ফলে তাতে পোকা ছিল। তা সত্ত্বেও কেন সেগুলি শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে তা নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষিকার গাফিলতি পরয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। ভবিষ্যতে যাতে শিশুদের জন্য পোকা ভরতি চাল ডাল না দেওয়া হয় তা নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিকরা।