Bratya Basu on Justice Ganguly: তৃণমূলে চলে আসুন! বঞ্চিতদের ‘ভগবান’ বিচারপতি গাঙ্গুলিকে আহ্বান ব্রাত্য বসুর

এতদিন ছিলেন বিচারপতি। সত্যের পক্ষে অবিচল। তাঁর রায়ে কেঁপে যেত তৃণমূলের দুঁদে নেতার বুকও। সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় এবার নামছেন রাজনীতির ময়দানে। সংবাদমাধ্যমে তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছেন। চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি বৃহত্তর ক্ষেত্রে রাজনীতিতে নামবেন বলেও জানিয়েছেন। এদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়কে দীর্ঘদিন ধরে আক্রমণ করেন তৃণমূলের নেতারা। আর রবিবার ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে আসার কথা ঘোষণা করার পরেই কার্যত রেরে  করে উঠেছেন তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্ব। আর বিচারপতি নিজেও পরিস্কার করে দিয়েছেন যে তিনি তৃণমূলে যাবেন না। তৃণমূলের চৌর্যবৃত্তি নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। 

তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় যেভাবে তাঁর রায়ের মাধ্য়মে শিক্ষা দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতেন তার জেরে কার্যত বাংলার মানুষ তাঁকে ভগবানের আসনে বসিয়েছিলেন। আর সেই ভগবানকে এবার তৃণমূলে যোগদানের জন্য় আহ্বান করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। 

ভাঙরে তৃণমূলের সভায় তিনি বলেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। যে কেউ যে কোনও রাজনৈতিক দলে যেতেই পারেন। আমার মনে হয় জাস্টিস গাঙ্গুলির ক্ষেত্রে যে জল্পনা রটেছে সেটা যতক্ষণ উনি নিজে না বলছেন কোন দল থেকে উনি লড়বেন বা কোন দলে যোগ দেবেন খোলসা করে বলেননি। ওনার যে ভাবমূর্তি সমাজে তাতে আমার বক্তব্য উনি যদি একটা স্বতন্ত্র দল খোলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই সময় যেটা করেছিলেন। উনি বিচারব্যবস্থার প্রতি সত্যি নিরপেক্ষ থেকে থাকেন তবে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু যদি বিজেপিতে, বা সিপিএমে বা জোটের দলে যান তাহলে ওনার সম্পর্কে যে ধারণা সমাজে আছে সেটা আমার মনে হয় অনেক মানুষ হতাশ হবেন। আমি অবশ্যই মনে করি তাঁর রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। তাঁর অধিকার আছে। করলে আমি চাইব নতুন দল করুন বা আমাদের দলে আসুন। 

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মূল লড়াইটা তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আর স্পষ্ট করে বললে বলা যায় শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কিন্তু যথার্থই বলেছেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় যদি বিজেপিতে যান তবে সেখানেও কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্তরা রয়েছেন….

তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় জানিয়ে দিয়েছেন, বাম দল আছে. কংগ্রেস, বিজেপি আছে, ছোট রাজনৈতিক দল আছে তারা যদি মনে করে টিকিট দেবেন, তখন আমি ভেবে দেখব টিকিট নেব কি নেব না। তবে তিনি যে রাজনীতির বৃহত্তর ময়দানে আসছেন সেটাও জানিয়ে দেন তিনি।