‘বারাসত থেকে লড়লে ২ লক্ষ ভোটে হারবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়’, চ্যালেঞ্জ কাকলির

ঘোষণা মতোই আজ সোমবার এজলাসে শেষদিন ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আগামীকাল মঙ্গলবার তিনি বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। আর তারপরেই রাজনীতির ময়দানে লড়াইয়ে নেমে পড়বেন। যদিও তিনি কোন দলে যোগ দেবেন সেবিষয়টি এখনও খোলসা করেননি। তবে বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এমন অবস্থায় চাকরি প্রার্থী মামলকারীদের ‘ভগবান’ হিসেবে পরিচিত বিচারপতিকে নিয়ে সমস্ত মহলেই জোর আলোচনা চলছে। ঠিক সেই মুহূর্তে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগেই নির্বাচনী লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি হলেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।ওই তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বিপুল ভোটে হেরে যাবেন। কত ভোটে হারবেন সেই সংখ্যাটি নির্দিষ্টভাবে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।

আরও পড়ুন: ‘আপনার কারণে সন্তানের চিকিৎসা হয়েছে, প্রণাম করতে চাই’, আবেগের বিস্ফোরণ হাইকোর্টে

কী বলেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার?

তৃণমূল সাংসদ দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বারাসত আসন থেকে নির্বাচনে লড়াই করলে দু’লক্ষেরও বেশি ভোটে হেরে যাবেন। এখানেই থেমে না থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বারবার তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে ইডি, সিবিআইকে পাঠিয়েছেন। তাঁর মনোভাব দেখে প্রথম থেকেই মনে হয়েছে তিনি বিজেপির লোক। আর আজ তিনি বিচারপতির পদ ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন। তবে বিজেপি- আরএসএসের লোকেরা বারাসত থেকে দাঁড়ালে তাদের ভালো করে পালিশ করে দেওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন সাংসদ।

বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বারাসাত থেকে লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। আবার অন্য সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, তমলুক থেকে বিজেপির লোকসভা প্রার্থী হতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও এই দাবিতে এখনও পর্যন্ত কোনও সীলমোহর পড়েনি। তবে কাকলির দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন বারাসতের বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের পালটা দাবি, যদি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করে বারাসত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে কাকলি ঘোষ দস্তিদারই ২ লক্ষের বেশি ভোটে তাঁর কাছে হেরে যাবেন। এমন অবস্থায় দুই রাজনৈতিক দলের দাবি পালটা দাবিকে ঘিরে আলোড়ন পরে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।