যাবতীয় নির্দেশ পালন করার বার্তা কমিশনের ফুলবেঞ্চের, আজ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই গোটা বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই আবহে রাজ্যে পা রেখেছে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেমন কাজ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। রবিবার দু’টি দলে ভাগ হয়ে বাংলায় আসে তারা। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা পৌঁছন দুপুরে। এদিন ফুলবেঞ্চের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব ও রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ কুমারের সঙ্গে।

এদিকে রাজ্যে ফুলবেঞ্চ আসায় এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চে ভোটের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যদিও লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ হয়নি। তবে বেঞ্চ বাংলায় এসেই ভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছে। ভোটার তালিকা, বুথ প্রস্তুতি এবং আদর্শ আচরণ বিধি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশিকা আছে তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কেমন কাজ হয়েছে সেটার রিপোর্ট নিয়েছে ফুল বেঞ্চ। বেঞ্চের সদস্যদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় নির্দেশ পালন করতে হবে। আর একশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং তাদের রোজকার রুট মার্চের বিষয়ে রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করেন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমার অন্তর বলছে সময় শেষ হয়েছে’‌, পদত্যাগের কারণ জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

অন্যদিকে আজ, সোমবারও কাজ করবে ফুলবেঞ্চ। রাজ্যের স্বীকৃত ৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। প্রত্যেকটি দলকে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য ১৫ মিনিট করে সময় বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন। ধর্মতলার একটি বেসরকারি হোটেলে এই বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্যরা। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানো, হিংসা ছড়ানো ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ। তাছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলের যদি অভিযোগ, পরামর্শ থাকে তাও শুনবে ফুলবেঞ্চ।

এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই লোকসভা নির্বাচন প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কাছেই হাইভোল্টেজ। সেখানে ১৫ মিনিট সময় যথেষ্ট নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে। এই বৈঠকের পর রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। এই বৈঠকে নানা বিষয়ে আলোচনার ফাঁকে লোকসভা নির্বাচনে প্রশাসনিক কর্তাদের যাবতীয় দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে কমিশনের ফুলবেঞ্চ। সেখানে নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রস্তুতি তৈরি হতে পারে।