সুন্দরবনে স্কুলগুলোকে দুর্যোগ আশ্রয়স্থল বানাবে রাজ্য, শিশুবান্ধব করার দাবি ইউনিসেফের – State to make Sundarbans schools disaster shelters , UNICEF demands child

সুন্দরবন অঞ্চলে অস্থায়ী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রগুলির পুনর্নিমাণের সময় শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার মতো বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করল ইউনিসেফ। 

রাজ্য সরকার এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ও কর্পোরেট সংস্থার তহবিলের সহায়তায় সুন্দরবনের ব-দ্বীপ অঞ্চলের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গোসাবা ব্লকে বিদ্যালয়গুলিকে আরও উন্নতমানের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিপর্যয় মোকাবিলা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান কলকাতাতে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নতি করা। এতে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক সময়ে উপকৃত হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারবে।’

গোসাবা ব্লকের কুমিরমারী নরেন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেনারেটর, এমার্জেন্সি লাইট, ব্যাটারি চালিত মোবাইল চার্জিং সিস্টেম, হুইল চেয়ার, স্ট্রেচার, মেডিকেল বক্স এবং বয়স্ক, মহিলা ও শিশুদের জন্য উন্নত টয়লেটের সুবিধা প্রদান করা হবে। মন্ত্রী জানান ধীরে ধীরে দুর্যোগের সময় গবাদিপশুদের আশ্রয় এবং সুরক্ষার উপরও জোর দেওয়া হবে।

মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সরকারের তিন কোটি টাকা খরচ হয়। যেখানে শুধুমাত্র তিন লক্ষ টাকা খরচে স্কুলভবনগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও গ্রামবাসীদের জীবনযাত্রার গতি বজায় সহায়তা করতে পারে।

আরও পড়ুন। স্কুলেই চলল বৌভাতের খাওয়া-দাওয়া, সাফ করল পড়ুয়ারা, উঠছে প্রশ্ন

প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় শিশু, মহিলা এবং বয়স্কদের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। এ প্রসঙ্গে ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রধান প্রভাত কুমার বলেন, ‘এই পরিকাঠামোগুলির উন্নতির সময় শিশু, মহিলা এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের সহায়ক হবে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এতে এইসব মানুষদের বেশি সুরক্ষা দেওয়া যাবে।’

প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা এবং মাত্রা দিন দিন বেড়েই বাড়ছে এবং এই সময়ে সরকারের এমন একটি কর্মসূচি প্রশংসনীয়।

লক্ষ্য করা গেছে যে সুন্দরবনের দ্বীপগুলিতে বসবাসকারী গ্রামবাসীরা যখন ঘূর্ণিঝড় বা বন্যার সময় আশ্রয়ের জন্য স্থানীয় স্কুল ভবনগুলিতে জড়ো হয়।

এনজিও-র পরিচালক জয়ন্ত বসু বলেন, ‘সরকার কর্তৃক স্থাপিত বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি, স্থানীয় স্কুলগুলিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রকল্পটি স্থানীয় মানুষদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং সুবিধা প্রদান করবে বলে আমরা আশাবাদী।