আ.লীগ নেতার ওপর ককটেল হামলা: কৃষক দলের সদস্যসচিব কারাগারে

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল রাজি জুয়েল ও ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হেফাজত আরা মিরার ছোট ভাই এনামুল হক সুমনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম রনি জানান, তার সংগঠনের সদস্যসচিব এনামুল হক সুমন বগুড়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা লীগ নেত্রী মিরার ভাই।

পুলিশ, আদালত ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কৃষক দলের নেতা এনামুল হক সুমন বগুড়া শহরের কলোনি এলাকার মৃত মাহফুজুল হকের ছেলে। গত নির্বাচনে তিনি বগুড়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। একই বাড়িতে বসবাসকারী তার অপর তিন ভাই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। একমাত্র বড় বোন হেফাজত আরা মিরা বগুড়া জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে শহরের টেম্পল রোডে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল রাজি জুয়েল এবং অন্যান্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় তারা মারপিটের পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে রক্তাক্ত জখম হন জুয়েল, ছাত্রলীগের নাইমুর রহমান নাইম, ফয়সাল প্রমুখ। জুয়েলের মাথায় আটটি সেলাই দিতে হয়।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল সদর থানায় জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব পৌর কাউন্সিলর এনামুল হক সুমনসহ ৮৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ মামলার আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে তারা বগুড়ার আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জামিনের শুনানি ছিল। জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী শুনানি শেষে জেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার জামিনের আবেদন পুলিশ রিপোর্ট দাখিল পর্যন্ত মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া এনামুল হক সুমনের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।