পাকিস্তানের পঞ্জাব পেল প্রথম শিখ মন্ত্রী, সর্দার রমেশ সিং অরোরার পরিচিতি একনজরে

পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রভিন্স এই প্রথমবার শিখ সম্প্রদায় থেকে মন্ত্রী পেল। সর্দার রমেশ সিং অরোরা সেখানের প্রথম শিখ মন্ত্রী হিসাবে উঠে এসেছেন। উল্লেখ্য, সেখানের সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে তিনি উঠে আসেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রভিন্স এই প্রথমবার মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উঠে আসেন নওয়াজ শরিফের কন্যা মারিয়াম। তাঁরই মন্ত্রিসভায় প্রথমবার কোনও শিখ পেলেন জায়গা।

৪৮ বছর বয়সী সর্দার রমেশ সিং অরোরা পাকিস্তানের নরোয়াল জেলার প্রতিনিধি। ইন্ডিয়ান এক্সেপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নরোয়াল জানিয়েছেন,’১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর প্রথমবারের মতো একজন শিখকে পাঞ্জাব প্রদেশের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমি শুধু শিখদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য কাজ করব না, পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু ও খ্রিস্টান সহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের জন্য কাজ করব।’ 

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সম্পন্ন হয়েছে সাধারণ নির্বাচন। এরপর দীর্ঘ রাজনৈতিক অধ্যায় পার করে সেখানে পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের নেতা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ হয়েছেন সেদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে যদিও মনে করা হচ্ছিল পাকিস্তানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফই সেদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন, তবে সেই ছবি দেখা যায়নি। এদিকে, নওয়াজের কন্যা মারিয়াম হয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। আর নওয়াজের কন্যা মারিয়ামের মন্ত্রিসভায় থাকা সর্দার রমেশ সিং অরোরা এখন খবরে। দেখে নেওয়া যাক সর্দার সিং অরোরা সম্পরকে কিছু তথ্য।

সর্দার রমেশ সিং অরোরা সম্পর্কে কিছু তথ্য

-সর্দার রমেশ সিং অরোরা, নানকানা সাহেবে জন্মগ্রহণ করেন, লাহোরের সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্যোক্তা এবং এসএমই ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

-রাজনীতিতে আসার আগে, সর্দার রমেশ সিং অরোরা পাকিস্তানে বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্য হ্রাস কর্মসূচিতে অবদান রেখেছিলেন।

-২০০৮ সালে, তিনি মোজাজ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা পাকিস্তানের সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তা করার জন্য নিবেদিত ছিল।

-সাম্প্রতিক পাকিস্তানের নির্বাচনে, সর্দার রমেশ সিং অরোরা তার নিজ শহর নারোওয়াল এবং গুরু নানকের শেষ বিশ্রামস্থল গুরুদ্বার শ্রী করতারপুর সাহেবের অবস্থান থেকে এমপিএ হিসাবে পুনঃনির্বাচিত হন। তিনি গত বছর কর্তারপুর করিডোরের জন্য ‘অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ’ হিসাবে নিযুক্ত হন।

-দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্দার রমেশ সিং অরোরা উল্লেখ করেছেন যে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় তার পরিবার ভারতে চলে যাওয়ার পরিবর্তে পাকিস্তানে থাকতে পছন্দ করেছিল।

-সর্দার রমেশ সিং অরোরা বলছেন, তাঁর দাদু তাঁর প্রিয় বন্ধুর কথা রেখে পাকিস্তানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দেশভাগের সময়। তারপর থেকে তাঁদের পুরো পরিবারই পাকিস্তানে থেকে যায়।